শরীফ শাওন : ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এমন ফরিদুল হক খান এমন পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানান, গম বা আটার রুটি না খেলে তা আমদানি করতে হবে না, এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। 

রোববার সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ভবনে এক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই যেন গমের আটার রুটি খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছি। আমরা তিন মাস গমের রুটি না খাই। দেখি না কী হয়? আমরা চালের আটার রুটি খাব। অসুবিধা কোথায়?’ গম আমদানি বন্ধ করা গেলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়বে না, ডলারের সংকট হবে না। 

অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশে দ্রব্যমূল্য সামান্য বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে সামান্য বেড়েছে, তাতেই মানুষের মনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সবাই বলে জিনিসের দাম বেড়েছে। কী (কতটুকু) বেড়েছে তা তারা বুঝতে পারছে না। ভোজ্যতেল সব ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আসে। সেখানে যুদ্ধ হওয়ায় সারা বিশে^ ধ্বস নেমেছে। এমনও দেশ রয়েছে যেখানে চালের কেজি ৫০০ টাকা। লন্ডনে পেট্রলের দাম তিনগুণ বেড়েছে। এক পাউন্ড (১১০টাকা) থেকে দাম বেড়ে ৩.৫৩ পাউন্ড হয়েছে। আমাদের সরকার দিচ্ছে ৯০ টাকায়। 

সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার দ্রব্যমূল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের হজযাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেন, তারা একটা ডিম খেয়েছেন ৫ রিয়াল দিয়ে। ১ রিয়াল ২৪ টাকা ধরে ১২০ টাকা একটা ডিমের দাম। আর বাংলাদেশে ১২০ টাকায় খাচ্ছেন কতগুলো ডিম। 

মেয়ের উদ্বৃতি দিয়ে ফরিদুল হক বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় গোশত, মুরগির কলিজা, গিলা বা রান কেটে ভাগ করে বিক্রি করে। দাম গুণলে মাথা ঘুরে যায়। সেই দেশে মুরগির দাম ৩ হাজার টাকা। বাঙালি মায়ের পেটে বাস করছেন। কিন্তু বোঝেন না যে মা এই দেশের জন্য কতটুকু করছেন।

বিদ্যুত ঘাটতি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের কিছুটা ঘাটতি হয়েছে, কেন হয়েছে সেটি দেশ ও জাতিকে বুঝতে হবে। বিদ্যুৎ তৈরি করতে দরকার হয় গ্যাস ও তেলের। দুটিই ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়। সেখান থেকে এখন এগুলো আনতে গেলে বিদ্যুতের দাম তিন-চার গুণ বেড়ে যায়। অন্য দেশ থেকে এনে বিদ্যুতে দ্বিগুণ ভর্তুকি দিচ্ছে।