শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২২, ০৩:৫০ দুপুর
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২২, ০৩:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতিতে ভালো মানুষ ছিলেন: কাদের

ওবায়দুল কাদের

মাসুদ আলম: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।

জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ। জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

জানাজার আগে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। জানাজার পর ফজলে রাব্বী মিয়ার জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে মরদেহ জাতীয় ঈদগাহে নেওয়া হলে তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানাজা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ফজলে রাব্বী মিয়া রাজনীতিতে একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো নেতা ছিলেন। তিনি  কতটা ভালো মানুষ ছিলেন, কতটা তিনি জনপ্রিয় ছিলেন সেটা নতুন করে ব্যাখ্যা করে বলার কিছু নেই। একটি নির্বাচনী এলাকা থেকে পরপর সাতবার তিনি নির্বাচিত হন। এতেই বোঝা যায় তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে।

তিনি আরও বলেন, তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী, নির্লোভ, নিরহংকারী মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অত্যন্ত অনুগত। উনার মতো এমন নেতা আমাদের মধ্য থেকে চিরতরে চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, রাজনীতিতে সৎ মানুষের অনেক দাম। আমরা ফজলে রাব্বীর মূল্যবোধকে ধারণ করতে চাই। নির্লোভ- নিরহংকার এক কথায় ভালো মানুষ। ফজলে রাব্বী চলে গেলেন, রাজনীতি থেকে একজন ভালো মানুষের চিরবিদায় হলো।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৪/১৫ বছর সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের একই বিল্ডিংয়ে বসেছি। এমন ভালো মানুষ আর দেখিনি। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুক। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। প্রথম যখন নির্বাচনের প্রার্থী হই, আমরা দুজন পাশাপাশি টেবিলে বসে ফরম পূরণ করি। একসঙ্গে জমা দেই। তিনি তার সব ধরনের সমস্যা আমার সঙ্গে শেয়ার করতেন। শারীরিক অসুস্থতা সারাতে তিনি বিভিন্ন দেশে গেছেন, তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। আমার আশা ছিল, তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। তিনি ফিরে আসলেন না- এটাই সবচেয়ে বড় দুঃখ।

তিনি আরও বলেন, তিনি নিজের এলাকার লোকের জন্য তদবির করতে লজ্জা করতেন না। এলাকার লোকজনের জন্য তিনি সুপারিশ করতেন। তবে ন্যায্য লোকদের জন্যই এই সুপারিশ করা হতো। 

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, জাতীয় সংসদের একজন পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তার জুড়ি নেই। আওয়ামী লীগে তিনি যতদিন ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্ভীক সৈনিক হিসেবে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার যে কর্মকাণ্ড, তিনি তা পরিচালনা করেছেন। তিনি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তার যোগ্যতা অসামান্য। তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অবিস্মরণীয়। আমরা তাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ফজলে রাব্বী মিয়া জনগণের আইনজীবী ছিলেন। আইন অঙ্গনের পথিকৃৎ ছিলেন। উনার কাছে এসে কেউ ফিরে যেত না। তিনি জনগণের আইনজীবী ছিলেন। তিনি কখনও ফিয়ের জন্য দেনদরবার করতেন না।

তিনি আরও বলেন, আইন অঙ্গনে দীর্ঘ পদচারণায় কোনোদিন তার বিরুদ্ধে কেউ টুঁ-শব্দটিও করেনি। সাধারণ মানুষের সাথে তিনি এমনভাবে মিশে যেতেন, তার ফলশ্রুতিতে, তিনি তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়