শিরোনাম
◈ মূল সড়কে চলবে না ব্যাটারিচালিত রিকশা ◈ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিল সৌদি সরকার  ◈ আজারবাইজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিদ্যুতের দামে সমতা চায় ডেসকো-ওজোপাডিকো ◈ সারাভারতে বাজছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ঘৃণাপূর্ণ সঙ্গীত ◈ অপকর্ম বন্ধ না করলে বিএনপিকেও ছুড়ে মারবে জনগণ: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশিকে ধরতে এসে পা ধরে মাফ চাইল বিএসএফ (ভিডিও) ◈ ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে গুজরাটে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলিম ◈ সারজিস আলমের চ্যালেঞ্জ, কড়া জবাব দিলেন রাশেদ খান ◈ পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ লাভে প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত হবেন না: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০২ দুপুর
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‘একটি হিউম্যানিটারিয়ান প্যাসেজ বা মানবিক করিডোরের’ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে হচ্ছে নানা আলোচনা। অনেকেই এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যা নিয়ে এবার সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে উঠা প্রশ্নের উত্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিয়েছেন শফিকুল আলম। যেখানে রাখাইনে মানবিক করিডোরের মাধ্যমে সাহায্য সরবরাহের বিষয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সরকার পরামর্শ করবে। 

মানবিক করিডোর নিয়ে প্রেস সচিবের কাছে আসা প্রশ্ন নিয়ে তিনি লিখেছেন- কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে এটি একটি প্রধান বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলও মন্তব্য করেছে যে দেশের প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া করিডোরের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল না। আপনি কি দয়া করে আমাদের বলতে পারেন আসলে কী ঘটছে?

মানবিক করিডোর নিয়ে পাওয়া প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব সরকারের অবস্থান তুলে ধরে লিখেছেন- আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হল- রাখাইন রাজ্যে যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তা থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সরবরাহ সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক হবে।

প্রেস সচিব রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে লেখেন, ইউএনডিপির মতে, রাখাইন রাজ্য একটি তীব্র মানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে আমাদের সহায়তার মাধ্যমে দুর্দশার সময়ে দেশগুলোকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।

তাছাড়া, আমরা উদ্বিগ্ন যে, দুর্ভোগ অব্যাহত থাকার ফলে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আরও মানুষের আগমন ঘটতে পারে, যা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও লিখেন, আমরা আরও বিশ্বাস করি যে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে সহায়তা করবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, রাখাইনে সাহায্য পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর পথ হল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে এই পথ দিয়ে সাহায্য পরিবহনে রসদ সহায়তা প্রদানে সম্মত।

করিডোরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে প্রেস সচিব লেখেন, রাখাইনে সাহায্য সরবরাহের বিষয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যথাসময়ে, আমরা বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করব। 

একটি বৃহৎ শক্তির জড়িত থাকার প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে, এই ধরণের প্রচারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে আমরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্যের ঝড় দেখতে পেয়েছি, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই ধরণের প্রোপাগান্ডাও এর থেকে আলাদা নয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়