দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদদের আত্মত্যাগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র বিনির্মাণের পথ খুঁজতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করছে, এই সংগ্রাম কতটা ফলপ্রসূ হবে।
মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদের শাসন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় সনদ শুধু সরকারের আকাঙ্ক্ষার বিষয় নয়, সবাই একত্রে বসে পথ খোঁজার চেষ্টা করছি। শহীদদের আত্মত্যাগ এই সুযোগ করে দিয়েছে। সুযোগ যেনো হাতছাড়া না করি, রাষ্ট্র বিনির্মাণের কাজটি যেনো শুরু করতে পারি।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সমাজে ভিন্নমত থাকলেও লক্ষ্য এক। সবার ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে এই প্রক্রিয়া কতটুকু সফল হবে।’
এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘১৬ বছর ধরে মানুষ যে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।’
সাইফুল হক বলেন, এমন রাষ্ট্র, সমাজ ও সংবিধান দেখতে চাই, যেখানে মতাদর্শের কারণে রাষ্ট্র তার নাগরিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা কাগজে নয়, সত্যিকারে কার্যকর করতে পারবে। এমন একটা ব্যবস্থা দেখতে চাই, যাতে কেউ চাইলে স্বৈরাচার হতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিসহ সমামনা দল আগেই সংস্কার প্রস্তাবনা দেওয়ায় ঐকমত্য কমিশনের কাজ সহজ হয়েছে। জুনের শুরুতেই ন্যূনতম প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করি। জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আকাঙ্ক্ষা পূরণে ঐকমত্য কমিশন সফল হবে বলে আশা করি। তবে বেশি টানাটানি না করে ন্যূনতম ঐক্য সাধনে ভূমিকা রাখতে হবে।’