ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২৬ এপ্রিল) প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কফিনের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এরপর বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেন।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে এবং প্রার্থনা শেষে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো, মন্টেনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট ইয়াকভ মিলাতোভিচ, গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস অব লুক্সেমবার্গসহ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর মধ্যে আরও আছেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসাল্ভেস, আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হাল্লা টোমাসদোত্তির, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং রানী ম্যাথিল্ড, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভার, মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট, নরওয়ের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী সারা জাফারানি, লিচেনস্টাইনের যুবরাজ ও রাজকন্যা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস, ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি আইওসি’র প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন ও সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রমুখ।
এর আগে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বজুড়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাজ এবং থ্রি জিরো কাজের জন্য যেখানে বেকারত্ব থাকবে না, দারিদ্র্য থাকবে না এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ হবে- এই দৃষ্টিভঙ্গির বড় প্রশংসক ছিলেন। ভ্যাটিকান ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ীর সঙ্গে রোমে একটি যৌথ ‘থ্রি জিরো’ উদ্যোগও চালু করেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে ইতালির রোমে গিয়ে পৌঁছান। আগামীকাল রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন তিনি। সোমবার ভোরে তার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন