শিরোনাম
◈ রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ ◈ কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় মোদিকে যে বার্তা দিলেন ড. ইউনূস ◈ চার দি‌নেই জিম্বাবু‌য়ের কা‌ছে টেস্ট হার‌লো বাংলা‌দেশ ◈ পারভেজ হত্যা মামলা: প্রধান আসামি মেহরাজ গ্রেপ্তার ◈ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ◈ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে এবার স্বর্ণের দামে বড় পতন, ভরি কত? ◈ সিলেটে টেস্ট চলাকালে মারা গে‌লেন বিসিবি কর্মকর্তা ◈ স্প্যানিশ লিগ অ‌নেক ঘাম ফে‌লে মায়োর্কাকে হারা‌লো বার্সেলোনা ◈ রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরও তিন নেতা গ্রেফতার ◈ চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি ৩০ এপ্রিল

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:১৬ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট: ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটে একমাত্র সমাধান হচ্ছে টেকসই প্রত্যাবাসন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১৩ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। বাংলাদেশ মনে করে, এ সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে টেকসই প্রত্যাবাসন।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিমি এবং রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণ করছে। 

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির তথ্যানুযায়ী, রাখাইনে মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১ জন রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা দীর্ঘমেয়াদে ২১টি ক্যাম্প ও তিনটি গ্রামে বসবাস করছে। নতুন করে বাস্তুচ্যুত ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮০৫ জন (অধিকাংশ রাখাইন) ১ হাজার ২১৯টি স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আরাকান আর্মির হামলার মুখে ৯০৯ জন মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ৮৭৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ৩৪ জনকে শিগগির পাঠানো হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে, রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় যৌথ সহায়তা পরিকল্পনার (জেআরপি) অর্থায়ন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৪ সালে জেআরপি ৮৫২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান করা হলেও প্রাপ্ত অর্থ ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫৪৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫-২৬ সালের জেআরপি ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয়। এর আওতায় ১৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষ রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে প্রয়োজন ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। ইউএসএ এর বিদেশি সাহায্য হ্রাস করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লুএফপি) ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করতে পারে। তবে তাৎক্ষণিক অর্থায়ন জোগাড় করে তা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা গেছে। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে আবার তহবিল সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে। আশা করি কাতার এই দিক থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়