জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রাজধানীতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরো ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: সাব্বির আহমদ নির্ঝর (২৮), মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক কামরুল আহসান নিশাদ (২৮), শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালু (২৫), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন ওরফে জীবন (৩০), মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহিদ এম আর রহমান (৫০), আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম শাহরিয়ার (৫৮), ডেমরা থানার পাইটি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস কাঞ্চন (৬৪), ৩৩ নং বংশাল ইউনিট যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাছুম (৫৮), ঢাকা মহানগর উত্তর ২৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুল হাসান রতন (৩৪) ও উত্তর বাড্ডা এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী রবিন দেওয়ান (২৯)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে বংশাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ হোসেন মাছুমকে এবং মগবাজার এলাকা থেকে মোঃ হাবিবুল হাসান রতনকে গ্রেফতার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের পৃথক টিম।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে মিরপুর-১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো: সাব্বির আহমদ নির্ঝরকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি টিম। একইদিন সকাল আনুমানিক ১০টায় ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি টিমের অভিযানে উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে রবিন দেওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি সূত্র আরও জানায়, ডিবি-রমনা বিভাগ পৃথক অভিযান পরিচালনা করে শনিবার দুপুরে ফুলবাড়িয়ার আনন্দ বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালুকে এবং সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে কামরুল আহসান নিশাদকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে শনিবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭টায় ডিবি-মতিঝিল বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে শাকিল হোসেন ওরফে জীবনকে গ্রেফতার করে এবং একই দিন গভীর রাতে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ওহিদ এম আর রহমানকে গ্রেফতার করে।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে ডিবি-সাইবার বিভাগের একটি টিম মগবাজার এলাকা থেকে শামীম শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে শনিবার গভীর রাতে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম কর্তৃক যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোঃ ইলিয়াস কাঞ্চনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘব্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থালে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহনের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।