এনসিসি ব্যাংকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে একটি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
অ্যাকাউন্টটিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করেছিলেন বলে জানা গেছে।তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্তকালে এ তথ্য পাওয়া যায়।
তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেওয়া দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম আদালতে আবেদন করে বলেন, তিনি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন যে শেখ হাসিনা এবং অন্যরা ওই টাকা অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। তাই, অ্যাকাউন্টটি জব্দের নির্দেশ প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুয়েল আবেদনটি উপস্থাপন করেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ একই আদালত দুদককে শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রাস্ট ছাড়াও আওয়ামী লীগের উল্লেখ করা হয়।
তারা এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা জমা করেছিলেন।
১১ মার্চ একই আদালত দুদককে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্য এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়।
পরিবারের অপর সদস্যদের মধ্যে আছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাদের পরিবারের সদস্য বুশরা সিদ্দিক এবং শাহীন সিদ্দিক।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ নয়টি প্রকল্প থেকে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক তদন্ত শুরু করে।
২২ ডিসেম্বর দুদক হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে।
চলতি বছরের ১০ মার্চ পূর্বাচল নিউটাউন প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট নেওয়ার অভিযোগে ছয়টি মামলায় হাসিনা, রেহানা ও তাদের পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
১১ মার্চ আদালত শেখ হাসিনার সন্তানদের নামে নিবন্ধিত সম্পত্তি সুধা সদন এবং শেখ রেহানা ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়।