শিরোনাম
◈ আইএমএফ ঋণের শর্ত শিথিলে রাজি নয়, কিস্তি ছাড়ে অনিশ্চয়তা ◈ নববর্ষ ঘিরে নিরাপত্তা 'ঝুঁকি নেই': স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইয়ংওয়ান চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ ◈ বাংলাদেশের পোশাকে উচ্চ শুল্ক আরোপ উচিত হয়নি: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান ◈ ‘তুরিন আফরোজের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল তল্লাশি করে সরকারবিরোধী পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গেছে’ (ভিডিও) ◈ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকছে না, নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে ◈ চীনা পণ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের, 'শেষ পর্যন্ত' লড়াইয়ের ঘোষণা চীনের ◈ বাটার লুট করা জুতা অনলাইনে বিক্রির জন্য পোস্ট, সিলেটে আটক ১৪ ◈ ইরান যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয়, তাহলে আমি মনে করি এটা ইরানের জন্য ভয়ানক হবে: ট্রাম্প ◈ বাংলাদেশর বিরু‌দ্ধে জিম্বাবুয়ের শক্তিশালী দল ঘোষণা

প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০২ রাত
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউনূস-মোদি বৈঠক: আওয়ামী শিবিরে প্রচণ্ড হতাশা

ইউনূস-মোদি বৈঠকের পর প্রচণ্ড হতাশা আওয়ামী শিবিরে। শুরুতে বলা হয়েছিল, বৈঠকের আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই। শেষ মুহূর্তে অনেকটা নাটকীয়ভাবে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তাও বিশ মিনিটের স্থলে চল্লিশ মিনিটে গিয়ে পৌঁছায়। যদিও বৈঠকে আহামরি কোনো ফলাফল আসেনি। তবে, দুজনের সাক্ষাৎ ছিল আলোচিত, রহস্যেভরা। বৈঠকের আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এক নাগাড়ে বলে আসছিল মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমনকি নরেন্দ্র মোদি নিজে যে টুইট করেছিলেন তাতেও বৈঠক সম্পর্কে কোনো আভাস-ইঙ্গিত ছিল না। প্রফেসর ইউনূসের চীন সফর এবং সেভেন সিস্টার্স নিয়ে তার খোলামেলা বক্তব্যে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়।

ভারত প্রকাশ্যেই হতাশা ব্যক্ত করে। এসব কারণে বৈঠকটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।  কিন্তু কীভাবে হলো এই বৈঠক। শুধু কি ভারতীয় হাইকমিশন বলল আর বৈঠকটি হয়ে গেল? তা কিন্তু নয়। যতটুকু শোনা যাচ্ছে, একটি তৃতীয় পক্ষের আগ্রহেই ‘সোফা বৈঠকে’ রাজি হয় ভারত। এই পক্ষটা কে বা কারা- তা জানা সম্ভব হয়নি। ঢাকার কূটনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা কথাই চাউর হয়ে আছে।

ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন যথার্থই বার্তা পাঠিয়েছিল। যেভাবে বাংলাদেশের মানুষজন ভারতবিরোধী হয়ে যাচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে পাকিস্তানের মতো পরিবেশ হয়ে যেতে পারে। ভারত তার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এখন তারা বলছে, কোনো একটি দল নয়, তারা জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায়। যাইহোক, বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়েও কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ভারত বিশ্বাসই করতে পারেনি প্রফেসর ইউনূস এভাবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পন চেয়ে বসবেন মুখোমুখি অবস্থানে থেকে। তারা ভেবেছিল, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে বাংলাদেশের তরফে যে কূটনৈতিক চিঠি পাঠানো হয়েছে তাই যথেষ্ট। নরেন্দ্র মোদির সামনে বসে প্রফেসর ইউনূস সরাসরি তার প্রত্যর্পণ চাইবেন না। কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে।

হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এখন ভারতে। অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ‘ম্যানেজ’ করে থাকার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে নতুন এক খেলা শুরু হয়েছে। বাড়িঘরে দেয়া হচ্ছে আগুন। যা দেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। স্থিতির জন্যও অনুকূল নয়। কারা এই খেলায় মেতেছে তদন্ত হওয়া দরকার। এ নিয়ে নানা গল্প চালু আছে। ভারতে যারা পালিয়ে আছেন তারমধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।  অনেকে আবার অপেক্ষায় আছেন।  পরিস্থিতি যদি পাল্টায় অথবা যদি দ্রুত নির্বাচন হয় তাহলে হয়তো ফিরে আসার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের তিক্ততার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রসঙ্গটি এসেছিল। বাংলাদেশ বরাবরই বলে আসছে এগুলো অনেকটাই প্রোপাগান্ডা। বাস্তব পরিস্থিতি তা নয়। নরেন্দ্র মোদিকে এমনটাই বলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা।

ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে  যেসব খবরাখবর আসে তাও বৈঠকে অন্যতম প্রসঙ্গ হয়ে ওঠে। ভারত তার অবস্থান থেকে নড়েনি। এমন কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি যে, মুহূর্তেই এই প্রোপাগান্ডাগুলো নিঃশেষ হয়ে যাবে। কূটনৈতিক বৈঠকগুলোতে কতকিছুই তো আলোচনা হয়। দু একটি বিষয় সবার নজর কাড়ে।  শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়েই এখন সবচাইতে বেশি আলোচনা হচ্ছে। তাহলে কি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পন ইস্যুটি দ্রুতই ফয়সালা হবে? ওয়াকিবহাল কূটনীতিকেরা বলছেন, এমন সম্ভাবনা নেই। তবে ভারত যে আন্তর্জাতিক চাপে পড়বে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ভারত দ্রুত নির্বাচনের কথা বলেছে। যেটা বাংলাদেশের জনগণেরও প্রত্যাশা। 

একটি নির্বাচনের জন্য বছরের পর বছর মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে। ভালো নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশের চলমান সংকটের সমাধান দিতে পারে এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। অনেকে অবশ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার পুরনো কৌশল নিয়েই খেলছেন পর্দার আড়ালে।  ওদিকে বাংলাদেশ যে বদলে যাচ্ছে তার কিছু আলামত আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে স্থান পাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন এক কথায় খারিজ করে দেয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ভাববার যে কারণ রয়েছে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।  উৎস: মানবজমিন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়