আনিস তপন: সম্প্রতি বন্যার প্রকোপ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পরিস্থিতির উন্নতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে নদীর গভীরতা বৃদ্ধিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা: শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এছাড়াও আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র সরকার নির্মাণ করবে বলেও এসময় জানান প্রতিমন্ত্রী। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১২২ বছরের ইতিহাসে এত ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গা পানির নিচে ছিল। এবারের বন্যা মোকাবেলায় উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের ৬০টি নৌকা প্রস্তুত ছিল। এবারের বন্যার পরে আমরা আরও চারশটি নৌকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। বন্যায় আশ্রয়ের জন্য ৫৫০ মুজিবকিল্লার প্রকল্প ছাড়াও আরও এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হবে।
তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ৪০টি বন্যাপ্রবণ জেলায় বন্যার এমন ভয়াবহতা আর দেখা যাবে না।
গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো জেন্ডার সংবেদনশীল উপযোগী করা, ত্রাণের সঙ্গে স্যানিটারি ন্যাপকিন যুক্ত করা, দুর্যোগকালীন সময়ে গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য আলাদা নৌকায় থাকার ব্যবস্থা রাখাসহ বন্যা আক্রান্ত এলাকার নারীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা কাটতে তাদের জন্য মনোসামাজিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন বলে সুপারিশ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :