শিরোনাম
◈ ঈদের দিনে ফেসবুক বার্তায় যা বললেন সারজিস আলমের ◈ শোলাকিয়ায় ভাঙলো আগের সব রেকর্ড, ৬ লাখের বেশি মুসল্লির নামাজ আদায় ◈ এবার কারাগারে যেমন কাটছে আ.লীগ নেতাদের ঈদ ◈ আওয়ামী লীগ নেতারা বিদেশে ঈদ উদযাপন করে ছবি দিচ্ছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশে থাকা কর্মীরা! ◈ এবার মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারছে দেশের মানুষ: মির্জা ফখরুল  ◈ খালেদা জিয়ার পরিবারের ঈদের ছবি পোস্ট করে যা বললেন আসিফ নজরুল ◈ ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার ◈ অনেকের ঘরেই আজ ঈদের আনন্দ নেই, অনেক মা সন্তানের জন্য কান্না করছে: জামায়াতে আমির ◈ উপকূলের ঈদ আনন্দ পানিতেই ◈ সুন্দরবন থেকে চলে আসা ৪০ কেজি ওজনের অজগর উদ্ধার!

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৫, ০৮:১২ রাত
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নদী সমস্যায় চীনের ‘মাস্টারপ্ল্যান’ চেয়েছে বাংলাদেশ, থাকছে তিস্তা পরিকল্পনাও

বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চীনের কাছে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান আহ্বান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় সাক্ষাতের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে চীনা মন্ত্রীকে বলেন, নদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানির স্বচ্ছতা এবং টেকসই পানি সরবরাহের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। চীনের পানি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশটি জটিল পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আশ্চর্যজনক সাফল্য দেখিয়েছে। আমাদেরও একই সমস্যা রয়েছে, যা আপনাদের আছে। যদি আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করেন আমরা খুশি হব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল, যেখানে শত শত নদী রয়েছে। পানি আমাদের জীবন দেয়, কিন্তু কখনো কখনো শত্রুতেও পরিণত হয়। এখন জনসংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যে, এটি কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করছে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনকে পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘মাস্টার’ অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশকে এ বিষয়ে অনেক কিছু শিখতে হবে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানান।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এখানে এসেছি আপনাদের কাছ থেকে শেখার জন্য-কীভাবে আমরা পানিসম্পদকে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের চাহিদার কারণে মানুষ নদীর পাশে জমি দখল করছে।

উজানে ভারতেও একই ধরনের চাহিদা বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, নদীর মাঝে চর জেগে ওঠা এবং পলি জমার ফলে নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের অস্তিত্ব সংকটে ফেলছে।

এ সময় চীনা মন্ত্রী স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশ ও চীন উভয় দেশই পানি ব্যবস্থাপনায় একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তিনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রতিশ্রুতি দেন।

‘বাংলাদেশের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু; চীনও একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি’- বলেন লি গোইয়িং। তিনি স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করে, যা পানি ব্যবস্থাপনাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী আরও জানান, প্রেসিডেন্ট শি চীনের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছেন, যা দেশটি পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবহার করছে।

‘আমাদের জন্যও একটি পরিকল্পনা তৈরিতে আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন’- চীনা মন্ত্রীকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সমস্যা শুধু একটি নদীকে ঘিরে নয়, বরং পুরো নদী ব্যবস্থার সঙ্গেই সম্পর্কিত। বিশেষত তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা এবং ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষিত পানি পরিষ্কার করতে চীনের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।

চীনে চারদিনের সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা দেশটির নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছেন। উৎস: যুগান্তর ও কালবেলা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়