শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০২৫, ০১:১৩ দুপুর
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ হয় কখন, কেন আর কীভাবে?

বিবিসি বাংলা : বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় এসেছে। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র নেতৃত্বের একজনের প্রকাশ্য বক্তব্য থেকে এবার রাজনীতি ঘিরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আলোচনায় এসেছে অনেকটা খোলামেলাভাবে।

রাজনীতি ও পেশাদার সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর দুটি আলাদা জগত হওয়ার কথা। কিন্তু রাজনীতিতে প্রভাব বা রাজনীতি নিয়ে রাজনীতিকদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ কেন থাকবে, সমস্যাটা কোথায় রাজনীতির দুর্বলতা নাকি ব্যর্থতা, এসব প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধেও সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ, পরস্পরের প্রতি অসহিষ্ণুতা ও ব্যর্থতার কারণে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি।

ফলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানিক রুপ পায়নি। আর সেটাই রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকার রাখার সুযোগ তৈরি করে। এই পরিস্থিতিকে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোও অস্বীকার করছে না।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, রাজনীতিকদের ব্যর্থতা এবং কিছু ক্ষেত্রে অদক্ষতার কারণে গণতন্ত্র এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়ে গেছে।

এছাড়াও রাজনীতিক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার চেষ্টাও বিভিন্ন সময় দৃশ্যমান হয়েছে। সে কারণে অনেক সময় রাজনৈতিক শূন্যতাও তৈরি হয়েছে। আর সেটাই ভিন্ন সুযোগ তৈরি করে থাকে।

পঁচাত্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিপরীতে প্রথম সামরিক বাহিনীর উত্থান

দুই দফায় সামরিক শাসনসহ বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দৃশ্যমান হয়েছে বা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট। 

এরপর সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে ক্যূ পাল্টা ক্যূ চলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে পঁচাত্তরের সাতই নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্র চলে আসেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, পাঁচাত্তরের সাত নভেম্বর রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিপরীতে সামরিক বাহিনীর উত্থান প্রথম দেখা যায়।

লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সাত নভেম্বরই বাংলাদেশের রাজনীতির খোলনলচে পাল্টে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার আগেই সামরিক শাসন জারি করা হয়েছিল। সামরিক শাসন জারি রেখেই তিনি দেশ পরিচালনা করেন। ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতিতে নামেন তিনি।

জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে নিহত হন সামরিক বাহিনীর কিছু সদস্যের করা ব্যর্থ অভ্যুত্থানে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তখন ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পরই ক্ষমতা দখল করেননি। তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ ক্ষমতা দখল করেছিলেন জেনারেল এরশাদ। ক্ষমতা দখলের কয়েকমাস আগে থেকেই দেশ শাসনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রাখার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরে আসছিলেন তিনি।

সে সময় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা দৈনিক বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল এরশাদ বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রথাগত কোনো বাহিনী নয়। দেশকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি দেশ পরিচালানায় ভূমিকা রাখার সুযোগও দিতে হবে তাদের।

এছাড়া ১৯৮১ সালের ২৮শে নভেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ ঢাকার দৈনিক পত্রিকা ও বার্তা সংস্থার সম্পাদকদের তার কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

সেখানে তিনি একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান এবং তার কপি সম্পাদকদের হাতে দেন। পরদিন দৈনিক সংবাদ শিরোনাম করেছিল, 'ক্ষমতার ভাগ নয়. সেনাবাহিনী গণতন্ত্র নির্মাণে সাহায্য করতে চায়।'

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, ক্ষমতা দখলের জন্য জেনারেল এরশাদ এ ধরনের অজুহাত দাঁড় করিয়েছিলেন বা এমন সব বক্তব্য দিয়েছিলেন। দেশের সামরিক শাসনের সময়ই সংবিধানের মৌলিক কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়। যে কারণে রাজনীতির চরিত্রই অনেক ক্ষেত্রে পাল্টে গেছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন।

সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ দৃশ্যমান হয়েছিল ২০০৭ সালে

নব্বইয়ে সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে উদারপন্থী, ডান, বাম-সব দলের আন্দোলন এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রুপ নেয়।

জেনারেল এরশাদ তার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে কারফিউ দিয়ে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকেও মাঠে নামিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী আন্দোলন দমনে মাঠে কোনো ভূমিকা রাখেনি। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন লে. জেনারেল নুরুদ্দীন খান।

সেনাহিনী সে সময় জেনারেল এরশাদের পক্ষে সমর্থন বা করেনি বা অবস্থান নেয়নি। সে সময়ের সেনাবাহিনীর সেই ভূমিকা নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা হয়েছিল। নব্বইয়ের পরে ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দৃশ্যমান হয়েছিল। যদিও তখন সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতায় বসেনি, বেসামরিক লোকেদের দিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা এবং ওই সরকারের সঙ্গে দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রকাশ্য ছিল।

সেই শাসন এক এগারোর শাসন বা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামে পরিচিতি পেয়েছিল। ওই সময়ে বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ বড় দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছিল। আর এসব ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর তৎপরতা ছিল দৃশ্যমান।

তবে বিভিন্ন সময় যে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় ছিল, তাদের বিরুদ্ধেও অনেক ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনে এ ধরনের অভিযোগ জোড়ালোভাবে উঠেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণ ও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছিল। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিরোধী দল ও মত দমনে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইকে ব্যবহার করেছে। দলটির শাসনে গুম-খুনসহ লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।

সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের বিষয়টিও সুযোগ সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।

আবার কেন আলোচনায়?

শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শেষপর্যায়ে তা দমনে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও আন্দোলন দমনে কোনো ভূমিকা রাখেনি।

গত বছর সেই আন্দোলনে পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন যেদিন হয়, সেদিন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঢাকা সেনানিবাসে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সে অনুযায়ী প্রক্রিয়া চলে। আটই অগাস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্যদিকে, পাঁচই অগাস্ট থেকে আটই অগাস্ট দেশে কোনো সরকার ছিল না। এই তিন দিন আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামলাতে হয়এছে সেনাবাহিনীকে। রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করে থাকে, তারাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছে।

কারণ বেসামরিক প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সেনাবাহিনীর সেই ভূমিকা আলোচনায় ছিল। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের যখন আট মাস হতে চলেছে, গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের একজন হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি বক্তব্য ঘিরে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আবার আলোচনায় এসেছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ এখন তাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক।

তিনি সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে লিখেন, সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের কয়েকজনের এক বৈঠকে পতিত আওয়ামী লীগকে বিকল্প নেতৃত্ব দিয়ে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

ওই বৈঠকে নাগরিক পার্টির আরেক নেতা সারজিস আলমও ছিলেন। তিনিও বিসয়টা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তাতে স্পষ্ট হয় যে, সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে তাদের সেই বৈঠক হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহর ওই বক্তব্যের পরই তা আলোচনার জন্ম দেয়। জাতীয় নাগরিক পার্টিও রাজনীতিতে অনেকটা 'কোণঠাসা' হয়ে পড়ে।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলোও ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে। রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হতে দেখা যায়। সেই আলোচনা এখনও চলছে।

বিশ্লেষকদের অনেকে রাজনীতিকদের ব্যর্থতা ও গণতন্ত্রের দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন।

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা। একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে তার সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।

সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলৈার নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখার সুযোগ পেয়েছে। ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক যখন গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে ফেলে এবং নিজেরা দুর্নীতিতে ডুবে যায়, তখন সুযোগ তৈরি হয়।

আরেকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার শাহেদুল আনাম খানের সঙ্গে কথা বললে তিনিও একইরকম মন্তব্য করেন। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ ব্যাখ্যা করেন ভিন্নভাবে। তিনি ক্ষমতা দখলের আগে জেনারেল এরশাদের বক্তব্যকে উদাহরণ হিসেবে টানেন।

দেশ পরিচালনায় সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীকে সুযোগ দিতে হবে বা সম্পৃক্ত করতে হবে বলে বক্তব্য দেওয়ার কয়েকমাস পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করার পাশাপাশি মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এক এগারোর সরকারের সময়ও একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে জাতিয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। অবশ্য সেটি আর হয়নি।

রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকলে তা যে দেশের জন্য ক্ষতিকর, সেই বিষয়গুলোর তুলে ধরেন বিশ্লেষকেরা।

মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানে শুরু থেকেই সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে আসছে। দেশটিতে সেনাবাহিনী কখনও নিজেরা ক্ষমতা দখল করেছে, কখনও পেছনে থেকে ভূমিকা রেখেছে। ফলে দেশটিতে গণতন্ত্র ও রাজনীতি দাঁড়াতে পারেনি।

বাংলাদেশেও সামরিক শাসনের সময় সংবিধানের মৌলিক অনেক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব রাজনীতিসহ সার্বিকভাবে পড়েছে বিশ্লেষকেরা বলছেন।

তারা মনে করেন, রাজনীতিকদের দুর্নীতি অনিয়মসহ ব্যর্থতার কারণে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়। তখন সাধারণ মানুষও সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রত্যাশা করে থাকে। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিকগুলো সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। রাজনীতি রাজনীতিকদএর হাতেই থাকা উচিত বলে তারা উল্লেখ করেন।

যা বলছে দলগুলো

বিভিন্ন দল অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের দুর্বলতা বা ব্যর্থতার অভিযোগ স্বীকার করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, রাজনীতিবিদদের দুর্বলতা ও অনেক ক্ষেত্রে অদক্ষতার কারণে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। রাজনীতিকদেরই এ ধরনের পরিস্থিতি পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

জামায়াতে ইসলামী এবং বমপন্থী কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারাও বিএনপি নেতার সঙ্গেই সুর মিলিয়েছেন।

রাজনীতিকরা অবশ্য বলছেন, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ থেকে এগুতে পারেন, তাহলে দুইর্বলতা কাটিয়ে গণতন্ত্রকে শক্ত ভিত্তি দেওয়া সম্ভব। আর সেটা সম্ভব হলের ভিন্ন কিছু সুযোগ থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়