শাহীন খন্দকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর ধারণ ক্ষমতা এক হাজার থেকে ১২০০ কোটির বেশি নয়। বাংলাদেশের জনসংখা সাড়ে ১৬ কোটি। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার ১হাজার ২০০ জন লোক বাস করে। জনসংখা বৃদ্ধির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর যে সম্পদ আছে, তা সবাই যেন সমানভাবে পায় এবং ভবিষ্যৎ যেন সুরক্ষিত হয়, এটাই এবারের বিশ্ব জনসংখা দিবসের প্রতিপাদ্য। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি লোকের জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য, চিকিৎসা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্ব আমরা এসব সুবিধা বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছর দেশে ৩০ লাখ শিশুর জন্ম হয়। ২০ লাখ নতুন লোক কর্মসংস্থানে যোগ দেয়। এই ২০ লাখ মানুষকে সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়। এটা অত্যন্ত কঠিন। জনসংখা যদি প্রতিনিয়ত বেড়েই যায়, তাহলে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে কারওয়ান বাজারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিবছর আমাদের যে জনসংখ্যা আছে তাদের সেবা দিতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বাড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংখ্যাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদার তুলনায় কম। হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংখ্যাও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদার তুলনায় কম।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে জনসংখ্যা আছে তাদের সবার জন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে সম্ভব নয়। তবে জনসংখ্যা অবশ্যই সম্পদ। কোয়ালিটি জনসংখ্যা প্রয়োজন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শেষ পর্যায়ে কর্মেরও ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শিল্প বাড়ছে, তার চেয়ে জনসংখ্যা আরও বেশি বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। বন্যা হচ্ছে, খরা হচ্ছে, কৃষি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সম্প্রতি সিলেটে বন্যায় অসংখ্য মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে, জমি, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, এভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে বিপদে পড়তে হবে।
এ সময় বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে জনপ্রতিনিধি ও পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলিভিশনের সাত জন সাংবাদিককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিহান আরা বানুসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :