শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে তিস্তা নদীর সম্ভাব্য প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন ও থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'তিস্তা এই সফরের এজেন্ডায় নেই। এটি শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছের বিষয়। তবে এজেন্ডায় পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা রয়েছে। এই এজেন্ডার আলোচনার সময় তিস্তা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে'। 

আগামী ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

বাংলাদেশ অংশে তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা ও পুনরুজ্জীবনের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 'তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন' প্রকল্পটি শেখ হাসিনা সরকার ভারতকে দিয়ে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিল। যদিও বেশ আগে থেকেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আগ্রহ দেখিয়ে আসছে চীন। এ বিষয়ে চীন ইতোমধ্যে তিস্তা নদীতে জরিপ পরিচালনা করেছে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার থাইল্যান্ড সফরের সময় বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'যেকোনো দেশের সাথে সম্পর্ককে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের সাথে ভারতের যে সম্পর্ক যাচ্ছে তাতে এই বৈঠককে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠক হলে সম্পর্কের যে টানাপড়েন আছে সেটা কেটে যাবে বলে মনে করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ভারতীয় পক্ষ থেকে ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে'। 

সফরে চীনের কাছ থেকে মিয়ানমারের ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব।

এছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যম সংযোগ সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চারটি ডেডিকেটেড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ইতোমধ্যে অনেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা আশা করছি, চীন বাংলাদেশেও একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে সহযোগিতা করবে।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ চীনকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ হিসেবে ধারণ করে। চীনও একইরকম মনে করে বাংলাদেশকে। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার এই সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চীনের সাথে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষত চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বড় উন্নয়ন সহযোগিও। এজন্য এখন সহযোগিতার নতুন খাত খোঁজা হচ্ছে'। 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়