সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকার বেশি করাসহ সরকারের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশনের সেই সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
আজ শনিবার রাজধানীর তথ্য ভবনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার এবং অসুস্থ-অসচ্ছল সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকতা ব্যবস্থাকে সাংবাদিক-বান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘ঢাকা শহরের সাংবাদিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। আমি নিজেও সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করেছি। তখন দেখেছি যে, ১০ হাজার, ১১ হাজার, ১২ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে। এই ১০ হাজার, ১২ হাজার টাকা বেতনে সাব-এডিটর বা নিউজ রুম এডিটরের কাজ। এই টাকা দিয়ে ঢাকা শহরে একটা পরিবার তো দূরের কথা একটা ফ্লাট ভাড়াও পাওয়া যাবে না।’
সাংবাদিকদের কল্যাণ অনুদান প্রদানকে একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে কল্যাণ অনুদান প্রদানের হয়তো প্রয়োজন হতো না। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সাংবাদিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ করবে সরকার।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তথ্য উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে তথ্য সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করতে হবে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাংবাদিক মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, সাজিদ আরাফাত ও মীর মুশফিক আহসান।
অনুষ্ঠানে ৩৭৪ সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিক পরিবার রয়েছে ১১টি। অনুদান পাওয়াদের মধ্যে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত সাংবাদিক রয়েছেন ১৯২ জন।