শিরোনাম
◈ ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাব হচ্ছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ◈ এসএসসির পর এবার দাখিলের সূচিতে পরিবর্তন ◈ চুয়েট নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে বহিষ্কার ◈ নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে ইসির ভিন্নমত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে চিঠি ◈ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে নীতিগত সিদ্ধান্ত : আইন উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র: এনডিটিভিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান (ভিডিও) ◈ করোনা ভ্যাকসিন কেনায় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুদকের ◈ স্ত্রীসহ বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ ভারতীয় মিডিয়া বিশ্বব‍্যাপী বাংলাদেশের বদনাম ছড়াচ্ছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ পটকা মাছ এক রাতেই ধ্বংস করে দিলো পুরো পরিবার!

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৩ বিকাল
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

রোহিঙ্গাদের রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত মানবিক সংকটকে গভীর করবে: খানি

মনিরুল ইসলাম: রোহিঙ্গাদের খাদ্য রেশন কমানোর সিদ্ধান্ত বিদ্যমান মানবিক সংকটকে গভীর করে তুলতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ। 

সংস্থাটির পক্ষ থেকে তহবিল সংকট নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে রোহিঙ্গাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ খাদ্য রেশন ও প্রয়োজনীয় সেবা পুনর্বহাল, তাদের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বরাবর পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। 

আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত পিটিশনে ফিয়ান ইন্দোনেশিয়া, ফিয়ান সুইজারল্যান্ড, এডাব, এএলআরডি, সিএসআরএল, একশনএইড অস্ট্রেলিয়া, একশনএইড বাংলাদেশ, বারসিক, কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি এলায়েন্স, ইনসিডিন বাংলাদেশ, এনজিও ফোরাম অন এডিবি সহ মানবাধিকার, খাদ্য অধিকার ইত্যাদি নানা ইস্যুতে কর্মরত আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয় ১১০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছে। 

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে জরুরিভাবে পর্যাপ্ত অর্থায়ন না পেলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাদ্য রেশন মাথাপিছু মাসিক ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে। আকস্মাৎ এই সহায়তা হ্রাসের বিষয়ে খানি বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে, এবং এর ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদ্যমান মানবিক সংকট গভীরতর হতে পারে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর দাখিলকৃত এই পিটিশনে বলা হয়, তহবিল ঘাটতি মোকাবেলা করতে, প্রয়োজনীয় সেবাগুলো পুনরায় চালু করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই সহায়তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ শরণার্থীরা ইতিমধ্যেই একটি ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন। আর রোহিঙ্গারা খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল, যার কারণে এই সহায়তা বজায় রাখা শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন অপুষ্টি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০১৭ সালের পর ২০২৫ সালে এসে ক্যাম্পগুলোতে সর্বোচ্চ অপুষ্টি দেখা দিয়েছে। শিশুদের মধ্যে পুষ্টিহীনতার হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সমস্ত ত্রাণ সহায়তার মূল শর্ত হলো খাদ্য। যদি কেউ খেতে না পায়, তাহলে আমরা যতই সুরক্ষা, শিক্ষা বা অন্য সহায়তা দেই না কেন, সেগুলোর কোনো প্রভাব পড়বে না। খাদ্যের পর্যাপ্ততা না থাকলে রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে, শৃঙ্খলা ভেঙে হোস্ট কমিউনিটিতে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হবে। এর ফলে শ্রমবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যদি তারা বাইরে গিয়ে কম পারিশ্রমিকে কাজ শুরু করে, তাহলে হোস্ট কমিউনিটির শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান হারাবে। ফলে সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে।

খানি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক, নুরুল আলম মাসুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ মানবাধিকার নিশ্চিত করতে, বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে যতদিন না তারা এই শিবিরে আছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়