শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪২ রাত
আপডেট : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গত দুই মাসে পাঁচ শতাধিক গুজব ছড়িয়ে মব তৈরির চেষ্টা

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম। গুজবে বিশ্বাস করে অনেকে বিভ্রান্তও হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ছাড়াও সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তাঁরা করছে একটি চক্র। এছাড়া এসবের মাধ্যমে মব তৈরির চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে তারা। গুজবের ৮০ শতাংশ বিদেশে বসে ছড়ানোর ফলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর: ঢাকা মেইল।

জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসে প্রায় পাঁচ শতাধিক গুজব ছড়ানো হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। গুজবের অনেক তথ্য ও পেজ পাশের দেশ থেকে ছড়ানো হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনী ও ফ্যাক্টচেক করা ব্যক্তিরা।

আলোচিত যত গুজব 

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আসছে। সেখানে নতুন পাঁচ মুখ যুক্ত হচ্ছেন। এমন একটি প্রজ্ঞাপনের কাগজ তৈরি করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন কোনো প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেনি। এমনকি যে সচিবের নাম ও স্বাক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে, তার সবটাই ভুয়া। এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি মহাখালী এলাকায় থাকেন এবং তিনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মী বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু পুলিশের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সেনাপ্রধান পদত্যাগ করেছেন বলে গত ১১ মার্চ গভীর রাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী ক্যান্টনমেন্টে ক্যু করে ক্ষমতার পালাবদল ঘটিয়েছে বলে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই খবর ভারতীয় প্রভাবশালী অনেক পত্রিকাতেও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু আদতে ঘটনাটি একটি গুজব।


কিছুদিন আগে ফেসবুকে অনেকগুলো অস্ত্রের ছবি দিয়ে ছড়ানো হয় যে, সেগুলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতির কক্ষ থেকে উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, সেগুলো মূলত জুলাই অভ্যুত্থানে থানার লুট হওয়া অস্ত্র। সেনাবাহিনী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধারের পর পুলিশকে হস্তান্তর করে। আর সেই ছবি দিয়ে এই গুজব ছড়ানো হয়। 

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর তা হলো এক ব্যক্তি আদালত চত্ত্বরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। ওই সময় লোকজন তাকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর শুরু করে। মূলত সেই ভিডিওটি ঠাকুরগাঁও জেলার যুবলীগ নেতাকে মারধরের। কিন্তু সেটি ছড়ানো হয় ভিন্নভাবে। সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় আসামির পক্ষে এক আইনজীবী লড়াই করতে যাওয়ায় তাকে এভাবে মরধর ও গণধোলাই দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার চালানো হয়। আদতে সেটি ছিল অসত্য তথ্য। 

সবশেষ জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেসের ঢাকায় সফরকালীন মুহুর্ত নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। ছবিতে টেবিলে বসে একটি বইয়ে স্বাক্ষর করছেন গুতেরেস আর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। কেউ কেউ আবার সেই টেবিলে গুতেরেসের জায়গায় ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার ছবি যুক্ত করেও প্রকাশ করেছেন, ইউনুস পদত্যাগ করলেন শেখ হাসিনা ফিরে আসার কারণে।

কখনো ছবি, ভিডিও আবার কখনো ভারতে পলাতক শেখ হাসিনার অডিও রেকর্ড প্রকাশ করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব প্রচার করে মূলত পতিত লীগের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করছে তারা।

গত আড়াই মাসে বেশি গুজব ছড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে টার্গেট করে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি সম্পর্ক নিয়ে বেশি গুজব ছড়ানো হয়েছে। এরপর আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।  

ফ্যাক্টচেকিংয়ে যা বেরিয়ে এসেছে

ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে গত আড়াই মাসে ৫৩৯টি ভুয়া তথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানটির মতে, জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ২৭১টি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬৮টি অসত্য তথ্য ইন্টারনেটে ছড়ানো হয়েছে।

রিউমর স্ক্যানারের তথ্যমতে, ফ্যাক্টচেক থেকে গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রমাণ মিলেছে। ফেসবুকের পাশাপাশি ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ১৬টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার করেছে বলে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। 

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জানুয়ারিতে এমন ৩২টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে ২৫টি ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

গেল জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ খবর সরকারের বিরুদ্ধে। ভুল তথ্যের রোষানল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। এই তালিকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও রয়েছেন।

তবে রিউমার স্ক্যানার কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মনে করছেন এই গুজব দেশ ও বিদেশ দুই পথ থেকেই ছড়ানো হচ্ছে। তবে দেশে যারা ছড়াচ্ছেন তাদের অধিকাংশই ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ টার্গেট করে গুজব ছড়ানোর কাজ করছে। ভুল তথ্যের স্টিকার সম্বলিত কার্ড যারা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন তাদের বেশিরভাগই জানেন না সেটা আসল কি নকল তথ্য। শুধু ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমও অনেক সময় সামাজিক মাধ্যম থেকে অসত্য ভুয়া তথ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন পাঠক।

আগে ব্যক্তিকে টার্গেট করে গুজব ছড়ানো হলেও এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে রাষ্ট্র। এখন প্রতিদিনই নানাভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। 

গত জানুয়ারিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে নয়টি ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি কিছু মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এমন ২০টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমর স্ক্যানার। এর মধ্যে অর্ধেক ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

রিউমার স্ক্যানারের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাকিউজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে ৮০ শতাংশ অসত্য তথ্য গুজব ছড়ানো হচ্ছে এমনটি আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি দেশ ও বিদেশ থেকে এসব ছড়ানো হচ্ছে। কোথায় থেকে কত শতাংশ তা বলা কঠিন। তবে গুজবের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে অনেক সময় দেখেছি বিদেশের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকেও এসব ছড়ানো হয়েছে।’ 

সাইবার বিভাগ ও পুলিশ যা বলছে

পুলিশের সাইবার বিভাগ ও গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করতেই পতিত আওয়ামী লীগের লোকজন ও তাদের দোসররা এসব টার্গেট করে ছড়াচ্ছে। যাতে দেশের মানুষজন বর্তমান ইউনুস সরকারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মবে অংশ নেয়। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মী এখন ভারতে অবস্থান করছে। তারা সেখানে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এসব করছে বলেও প্রমাণ মিলছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে খোলাসা কেউ কথা বলছে না সাইবার সংশ্লিষ্টরা। তারা শুধু বলছেন, এসব ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা তারা পাচ্ছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দলটির কয়েক লাখ কর্মীকে সাইবার জগতে শুধুমাত্র গুজব ছড়ানোর জন্য ট্রেনিং দিয়েছিল। তারা বিগত সময়ে প্রতিনিয়ত গুজব ছড়াতো। এখন আবারও তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বিষয়কে টার্গেট করে গুজব ছড়িয়ে মব তৈরির চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ খুলে ড. ইউনূস ও দেশে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে। তবে সাইবার টিমগুলো সার্বক্ষণিক নজর রাখায় তেমন সুবিধা করতে পারছে না। পাশাপাশি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো সক্রিয় থাকায় গুজব ছড়িয়েও তেমন কোনো ফায়দা হাসিল করতে পারছে না পতিত সরকারের দোসররা। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঢাকা দক্ষিণের সাইবার বিভাগের ডিসি মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সাধারণত গুজবগুলো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ছড়ানো হয়ে থাকে। তবে আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আর যেসব ক্ষেত্রে আমরা মনে করি যে আইন লঙ্ঘন হয়েছে সেগুলোতে অবশ্যই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’ 

মহিউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘যেসব গুজব দেশের ভেতর থেকে ছড়ানো, সেগুলোতে আমরা শনাক্ত করে অপরাধীদের ধরতে পারি। কিন্তু যেগুলো বিদেশে বসে ছড়ানো হয়, সেগুলো শনাক্ত করা গেলেও ধরা বা আইনী ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়।’ 

ডিবির সাইবার বিভাগ জানিয়েছে, বর্তমানে যেসকল গুজব ছড়ানো হচ্ছে তার ৮০ শতাংশ বিদেশে বসে। ফলে সেগুলো শনাক্ত করা গেলেও অপরাধীদের ধরা বা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হচ্ছে। কারণ ওইসব দেশের আইন ও স্বাধীনতার সঙ্গে বাংলাদেশের আইন মেলে না। ফলে মেইল পাঠানো হলেও তারা বিষয়টি দেখলেও কোনো সাড়া দেন না। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিরা।

সূত্র বলছে, গত তিন মাসে অনেককে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ডিবি। সেগুলোর সূত্র ধরে এখন তদন্ত করছে সংস্থাটির বিভিন্ন সাইবার টিম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা সকল গুজবের বিষয়ে নজর রাখছি। কেউ নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে এসব গুজবে যেনো কেউ কান না দেয়, সেজন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি।’

পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া বিভাগের এআইজি ইনামুল হক সাগর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গুজব সৃষ্টি করে কেউ যাতে জনগণকে বিভ্রান্ত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশের সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রয়েছে। গুজব প্রতিরোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সামাজিক মাধ্যম তথা সাইবার জগতে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বিভ্রান্তিকর বিষয়ে লাইক ও শেয়ার করার ক্ষেত্রেও জনগণকে সচেতন হবার অনুরোধ জানাই।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়