শিরোনাম
◈ রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ◈ রোহিঙ্গারা আগামী বছর যেন নিজ বাড়িতে ঈদ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করার অঙ্গীকার ◈ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের ◈ সুযোগ পেলেই আমরা ড. ইউনূসকে শূলে চড়াই: সারজিস ◈ (১৫ মার্চ) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের যত কর্মসূচি ◈ টিউলিপ সিদ্দিক জাল স্বাক্ষর করেছিলেন বোনকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দিতে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন ◈ ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি? ◈ নওফেল, বিপ্লবকে ১০ কোটি টাকায় পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! ◈ তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:১৩ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টিউলিপ সিদ্দিক জাল স্বাক্ষর করেছিলেন বোনকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দিতে: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে সরকারি প্লট বরাদ্দের অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক আরও অভিযোগ করে, নিজের বোনের নামে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তরের জন্য ভুয়া নোটারি নথি ব্যবহার করেছিলেন টিউলিপ। তাতে এক আইনজীবীর জাল সই ব্যবহার করা হয়েছিল।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য। তিনি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সিটি মিনিস্টার’–এর দায়িত্বে ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত জানুয়ারিতে সিটি মিনিস্টারের পদে ইস্তফা দেন তিনি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য পূর্বাচলের নিউ টাউন প্রকল্পের সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রকাশিত অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বোনের নামে আলাদা একটি ফ্ল্যাট হস্তান্তরের জন্য একটি জাল নোটারি ব্যবহার করেছিলেন তিনি।

দুর্নীতির অভিযোগে কাউকে বিচারের আওতায় আনা এবং দুর্নীতির ঘটনা তদন্তের এখতিয়ার রয়েছে দুদকের। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ-সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ হাসিনার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে তারা।

দুদকের দাবি, আইন লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনেরা সরকারি জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘এটি হিমশৈলর চূড়ামাত্র। বর্তমানে দুদকে তদন্তাধীন আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে, যেগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরাট দুর্নীতি তুলে ধরবে।’

দুদক দাবি করেছে যে পূর্বাচলের নিউ টাউন প্রকল্পের ৬০ কাঠা (প্রায় এক একর) সরকারি জমি অবৈধভাবে শেখ হাসিনা, তাঁর সন্তান ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকায় টিউলিপের মালিকানায় আরেকটি সম্পত্তি থাকায় পূর্বাচলে জমি বরাদ্দের শর্ত অনুযায়ী, তিনি প্লট পাওয়ার যোগ্য নন। তবে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিয়ম লঙ্ঘন করে প্লট বরাদ্দ পান।

দুদকের অভিযোগ, বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে ঢাকার গুলশান এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তরের জন্য ভুয়া নোটারি নথি ব্যবহার করেছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। দুদক বলেছে, ওই নথিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী সিরাজুল ইসলামের সিল রয়েছে। তবে এই আইনজীবী বলেছেন, ওই নোটারি তিনি করেননি। সিলটি তাঁর হলেও স্বাক্ষর তাঁর নয়। আর সিরাজুল ইসলাম তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তিনি শুধু নিজের আইনি চেম্বারে বসে নথিপত্রে নোটারি করে থাকেন। টিউলিপ সিদ্দিক বা আজমিনা সিদ্দিকের সঙ্গে তাঁর কোনো পূর্বপরিচয় নেই।

ওই নথি একটি হেবা দলিল। কাউকে সম্পত্তি উপহার দেওয়ার ইসলামি আইনসম্মত দলিল এটি। ওই হেবা দলিল করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। তখন লেবার পার্টির এমপি ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক, তবে মন্ত্রিত্ব পাননি। দুদক অভিযোগ করেছে যে ফ্ল্যাটের প্রকৃত মালিকানা গোপন রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে ওই ভুয়া নোটারি করা হয়েছিল।

দুদকের অভিযোগের বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই অভিযোগগুলোর পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। এই বিষয়গুলো নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি এবং তিনি এই দাবিগুলো পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।’ অনুবাদা: প্রথম আলো।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়