এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া নামের আগে কেউ 'ডাক্তার' লিখতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের নামের আগে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত পদবি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত দুটি রিট নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের বেঞ্চ।
বুধবার (১২ মার্চ) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে রিট করেন। এ ছাড়া ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর রিটটি করেন। দুটি রিটেই পৃথক রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
শুনানি শেষে আজ দুটি রিটের বিষয়ে একসঙ্গে রায় দেওয়া হয়। রায়ে হাইকোর্ট প্রথম রিটটি খারিজ করেন এবং গত বছর করা রিটটি নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রথম রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সাইদুর রহমান। আর গত বছর করা রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।