সালেহ্ বিপ্লব: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ২০২১ সালের মানবাধিকার রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে।
প্রতিবেদনের ‘পলিটিক্যাল পার্টিস এন্ড পলিটিক্যাল পার্টিসিপেশন’ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী দেশের বৃহত্তম ইসলামী রাজনৈতিক দল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাচারের কারণে এই দলের নেতাকর্মীরা কথাই বলতে পারেন না। জমায়েত হতে পারেন না। সরকার রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। ফলে জামায়াতে ইসলামী কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, পারবে না সভা সমাবেশ করতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় বিক্ষোভ হয়েছিলো। বিক্ষোভের অপরাধে ৩২৭০ জনের নামে ১৫৪টি মামলা দায়ের হয়। বিএনপি, হেফাজতে ইসলাম এবং জামায়াতে ইসলামীর ১২৩০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
সে বছরই অক্টোবরে দুর্গাপুজার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টকে কেন্দ্র করে রংপুরে সহিংসতা ঘটে। এই ঘটনায় ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের সবাই নিরপরাধ বলে পরিবার দাবি করেছে। সহিংসতার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করেন।
এই রিপোর্টে আরো বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধী দলের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করছে সরকার। তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধী দলের কর্মসূচীর খবর প্রচারেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :