শিরোনাম
◈ কোচ গি‌লে‌স্পি ও পা‌কিস্তান ক্রিকেট বো‌র্ডের দ্বন্দ্ব আইসিসি পর্যন্ত গড়ালো ◈ ভারতে রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠছে ব্যাগ: প্রিয়াঙ্কার ‘সহানুভূতি’র পাল্টা বাঁশুরির ‘দুর্নীতি’র বার্তা ◈ সড়কে ময়লা ফেলে তীব্র যানজট; বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলন ◈ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি, বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ ◈ দুবাই বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় পাকিস্তানি টিকটকার গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে কাতার, এলএনজি চুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগেও আগ্রহ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ‌লিও‌নেল মেসির আবেগঘন বার্তা ◈ বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংস্কার আলোচনা: প্রতিটি বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, জানালেন আলী রীয়াজ ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৮ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরো সংবিধানকে বদলে ফেলা যুক্তিযুক্ত নয়: ড. কামাল হোসেন (ভিডিও)

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে ফেলে দেওয়া একদমই ভুল হবে। এত দিন এই সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা সংবিধান করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।

আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে।

সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান করা—এটা সংস্কার নয়, এটা সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা পথ। সংবিধান পুনর্লিখনও একটা ভুল ধারণা। সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়।

সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনীর পক্ষে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাস্তবতায় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দলগুলো পা রাখার মতো মাটি দ্রুত পাবে না। অল্প অল্প করে পর্যায়ক্রমে ভালোর দিকে যেতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর বিচার করলে রাষ্ট্রধর্ম আর ধর্মনিরপেক্ষতা—দুটি কথাই সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া উচিত। গণতন্ত্রের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা আসতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটা ব্যবহার না করে অন্যভাবে এগোতে পারলে ভালো।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ফেলে দেওয়ার প্রস্তাবের ফলে ধীরে ধীরে ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তির উত্থান হচ্ছে; যা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে, না হলে দেশে শান্তি আসবে না।

সংগঠনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল বারী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, এস এম এ সবুর ও আবু ইয়াহিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা। উৎস: সমকাল ও যমুনা টেলিভিশন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়