সরকার চাইলে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চীন প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেছেন, তবে বাংলাদেশকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিস্তা আপনাদের এলাকার নদী, আপনাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এ প্রকল্প দ্রুত শুরু করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় চীন দূতাবাসে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বছর চারেক আগে প্রস্তাব পাঠালেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিক্রিয়া জায়াননি উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তিস্তা নদীর তীরে বসবাসকারী হাজারো মানুষের কল্যাণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত। তবে একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের।
ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রকল্পটি মূল্যায়ন করার পর ২০২৩ সালে চীন বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়ে জানায়— তাদের দেওয়া প্রকল্পে কিছু অপ্রয়োজনীয় উপাদান থাকায় প্রকল্পটি সংশোধন করা উচিত। কিন্তু তারপর থেকে আমরা এখনো বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।
ভারতীয় ভিসা জটিলতায় অনেকেই দেশটিতে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় চীনের কুনমিংয়ে তিনটি হাসপাতাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, এ তিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আগ্রহীদের জন্য ভিসা সহজেই দেওয়া হবে।
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। এ নিয়ে মন্তব্য করবে না চীন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি। উৎস: দেশ রুপান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :