চট্টগ্রাম কাস্টমের অকশন শেডে সাবেক সংসদ সদস্যদের আনা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়িসহ ৪৪টি গাড়ির নিলামের বিপরীতে ৩৫ টি গাড়ির জন্য ১৪৩ টি দরপত্র জমা পড়েছে। তবে সাবেক সংসদ সদস্যদের বিলাসবহুল গাড়ির নিলামে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
এর মধ্যে ৯ টি গাড়ি কিনতে কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টমস নিলাম শাখায় দরপত্রের বক্স খোলা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দর উঠেছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একটি ল্যান্ড ক্রুজার।
এ বিষয়ে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশ অনুযায়ী সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ দর না আসায় সাবেক এমপিদের গাড়ি প্রথম নিলামে কেউ পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় নিলামে উঠবে এসব গাড়ি।
তিনি আরও বলেন, এমপিদের গাড়ির বাইরে যেসব গাড়ি ছিল সেগুলোতে সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশের বেশি পাওয়া গেছে। একটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ, আরেকটি গাড়ির মূল্য ছিল ৩০ লাখ ৩৮ হাজার। দুইটি গাড়িই ওই দাম দিয়েছেন বিডাররা। এখন এসব গাড়ির বিপরীতে নতুন করে কোনো মামলা হয়েছে কিনা যাচাই করে নিলামকারীদের হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা পর্যন্ত অনলাইন নিলামে জাপানের ল্যান্ড ক্রুজার তোলা হয় ২৬টি। এর মধ্যে ২৪ জন সাবেক এমপির গাড়ি ২০২৪ মডেলের এবং অন্য দুইটি আরও আগের। নিলামে ছিল পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটির সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি। নিলামকারীদের জন্য গাড়ি দেখার সুযোগ ছিল ২-৪ ফেব্রুয়ারি। উৎস: সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :