পতনের ঠিক ৬ মাস পর শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন বুধবার রাতে। এই ভাষণকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা ভেঙে দিয়েছে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ বেশ কিছু আইকনিক আওয়ামী স্থাপনা ও বিভিন্ন নেতাদের বাড়ি।
এরপরই মেক্সিকোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনাকে নিয়ে। তার অভিমত অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত হাতে লেগে আছে তাদের, সে দলের নেত্রীর এত স্পর্ধা দেখায় কী করে?
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না—এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের। তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে?’
হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি যারা দেখাচ্ছেন, তাদেরকেও একহাত নিয়েছেন আনসারী। তিনি বলেন, ‘যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতি পূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে? শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়?’
তবে স্ট্যাটাসের শেষে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এ ভাবনাটা তার ব্যক্তিগত। ‘এ মতামত একান্তই আমার ব্যক্তিগত’ — লিখে শেষ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :