৬৯ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নবায়ন করতে বলেছে সৌদি আরব। দেশটির রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ফেরত পাঠাতে নয়, সৌদি আরবে বৈধতা দিতেই এ নির্দেশনা। বুধবার দুপুরে সৌদি দূতাবাসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখান রাষ্ট্রদূত।
সৌদি আরবে আশ্রয় নেয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা কৌশলে বাগিয়ে নেয় বাংলাদেশের পাসপোর্ট। কিন্তু এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে নবায়নে চাপ দিচ্ছে দেশটি।
সৌদি আরব বলছে, বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা জরুরি। সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সমস্যা সমাধানে আন্তরিক ঢাকা।
ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বলেন, ‘বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে আছে ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা। আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো না বরং বৈধভাবে থেকে যাওয়া নিশ্চিত করতে চাই। আবাসন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জন্যও পাসপোর্ট জরুরি। এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুতই এর সুরাহা হবে।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা ঢাকা সফর করবেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান বলেন, ‘সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে পতেঙ্গা টার্মিনালের পাশাপাশি মাতারবাড়ীতেও কাজ করতে আগ্রহী। এ নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও ইতবাচক। এছাড়া, লজিস্টিকস, পরিষেবা খাত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি ব্যবসায়ীরা। এগুলো চূড়ান্ত করতে শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে।’
সৌদি আরবে প্রবাসীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরীহ কাউকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উৎস: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :