স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যখন তখন রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনে যে জনদুর্ভোগ হয়, তাতে ব্যবস্থা নিতে গেলে সমালোচনার শিকার হয় আনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে কারণে তিনি অপেক্ষায় আছেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদরদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আন্দোলনের নামে কারণে-অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে-এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি চাচ্ছি। আপনি একটা সত্যি কথা বলেছেন প্রথমে। কারণে অকারণে বিভিন্ন রাস্তাঘাট বন্ধ করছে এটা যদি আপনার ভালোভাবে প্রচার করেন। সে সময় কিন্তু জনগণই অতিষ্ঠ হয়ে যাবে।
সবার ধৈর্যের যে সীমা আছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে তারা। জনগণের কিন্তু একটা ধৈর্যের বাঁধ আছে, সেটা ভেঙে গেলে জনগণই কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আবার যদি আমরা কোনও সময় অ্যকশনে যাই তাহলে আপনারা বলেন পুলিশ আবার আগের পুলিশের মতো হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা বলেন, যারা আন্দোলন করছে, রাস্তাঘাট বন্ধ না করে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়গুলো জানাতে পারে। এই যে ছাত্ররা এসব করছে, তাদের তো স্কুল-কলেজের মাঠ আছে তারা সেখানে করতে পারে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে অনেককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
বাকি আসামি গ্রেপ্তারের উদ্যোগের বিষয় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরবো। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এটার এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেই ভাবে তাদের আনার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :