অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এসময় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক। সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সাত কলেজ নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার কাজ চলছে, তাতে তিতুমীর কলেজও থাকবে। তবে কাওকে যদি বিশেষ বিবেচনা করি সেটা হবে রাজশাহী কলেজ। কারণ রাজশাহী কলেজ অনেক পুরানো এবং ঐতিহ্যবাহী।
তিতুমীর কলেজকে বিশেষ বিবেচনায় নেওয়া হবে কি? এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি কোনো বিশেষ বিবেচনা করিনি। বিশেষ বিবেচনায় যদি নিয়ে থাকি তবে সেটি হবে রাজশাহী কলেজ। কেউ যদি বিশেষ বিবেচনায় থাকে সেটা হবে রাজশাহী কলেজ। আলটিমেটাম বা সময় বেধে দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। একটা সুশাসন ও সংস্কারের জন্য আমরা এসেছি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সাত কলেজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা কাজ করছেন। তিনি বলেন, দেশের মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকই গঠিত হয়েছে সবশেষ সাত বছরে, যা বিশ্বে এক অনন্য রেকর্ড। আন্দোলন করা ভালো, কিন্তু পরীক্ষাও দিতে হবে। যারা নিয়মিত ক্লাস করতে চায় এবং জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেদিকে নজর রেখে কর্মসূচি দেওয়া উচিত। উৎস: এনটিভি অনলাইন ও যমুনা টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :