শিরোনাম
◈ সংবিধানবিরোধী আইন বাতিলের দাবি: উত্তাল ভারত, ওয়াকফ সংশোধন নিয়ে ভারতের মুসলিমদের দেশজুড়ে বিক্ষোভ ◈ ঘোমটা তুলতেই দেখা গেল বদলে গেছে কনে, মেয়ের বদলে মায়ের সঙ্গে বিয়ে! ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেছে বিএনপি, আলোচনায় নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যু ◈ হিন্দু নেতার মৃত্যুকে নিপীড়নের অংশ বলা ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ সুবিধা না পেলেও বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হবে: আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ◈ সারা দেশে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঢল, গ্রেপ্তার অভিযানে কড়া নজরে পুলিশ ◈ ছাব্বিশের এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে! ◈ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মাইক্রোসফটের ভূমিকা নিয়ে কর্মীদের তীব্র প্রতিবাদ, বরখাস্ত ও পদত্যাগে উত্তাল পরিবেশ ◈ লা লিগায় ‌তিন গো‌লে পি‌ছি‌য়ে থাকা বা‌র্সেলোনা জিত‌লো ৪-৩ গো‌লে  ◈ আবারও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলো হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৪৪ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি চলাকালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে উদ্দেশ করে বিচারক বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। একপর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা কেটে যাবে।’

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৬ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয় আজ। শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।

অন্যান্য মামলার শুনানি চলায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বিচারক আনিসুল হককে কাঠগড়ায় থাকা বেঞ্চে বসতে বলেন। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হলে দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলার বিস্তারিত আদালতের সামনে তুলে ধরেন।

একপর্যায়ে বিচারক আনিসুলকে উদ্দেশ করে বিচার বিভাগের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। মামলা জটের চিত্র তুলে ধরে বিচারক বলেন, ‘ঢাকায় লক্ষাধিক নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের মামলা পরিচালনা করার জন্য মাত্র সাতটি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রয়েছে, যা মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অপ্রতুল। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারকদের টিনশেড ভবনে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগের তেমন কোনো সংস্কার হয়নি।’

এ সময় আনিসুল হক আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমি আইনমন্ত্রী থাকা অবস্থায় প্রতি বছর বিচারকসহ সহায়ক লোকবল নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন দিতাম। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। যে কারণে যথেষ্ট বিচারক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

সাবেক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট (উন্নতি) হয়েছে তা আমার করা। তবে আমার একটাই দুঃখ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য আলাদা একটি ভবন করতে পারিনি। ইনশা আল্লাহ, সামনে ভবন নির্মিত হবে, এই সংকট, সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠব।’

এরপর বিচারক আবারও বলেন, ‘সব কথা তো বলা যায় না। একটা টিভি সেন্টারের জন্য যে বাজেট সেই বাজেটও এই মন্ত্রণালয় পায় না। এ ছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাজ তেমন আগায় না। বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা। এখনো আমরা পুরোনো আইন যেসব ব্রিটিশরা তৈরি করে দিয়েছিল সেসবের মধ্যে আটকে আছি। আইনগুলো আপডেট করা দরকার। দেওয়ানি কার্যবিধি এমন যে একটা দেওয়ানি মামলা দিয়ে ১০০ বছরও ঘোরানো যায়। সারা দেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক দেওয়ানি মামলা চলমান। আর বিচারক মাত্র তিন শ জন।’

পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়