শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৩৩ সকাল
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘চা খেতে ৩০০ টাকা নেওয়া’ সেই এসআই ক্লোজড!

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার জন্য সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে নাটোর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানয়ারি) রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এই আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিওটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি নাটোর সদর থানা ভবনে এসআই আমিনুল ইসলামের ডেস্কে গেছেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি কিছু টাকা আমিনুলের হাতে দেন। তাৎক্ষণিক আমিনুল ওই টাকা তার টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন। ওই ডেস্ক থেকে আসার সময় সেবাপ্রার্থীকে টাকা দেওয়ার কারণ চান আরেক ব্যক্তি। তখন সেবাপ্রার্থী বলেন, ‘আমি ৩০০ টাকা উনাকে চা খেতে দিয়েছি।’ এ সময় তিনি আরও জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে এর আগে তিনি অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এক হাজার টাকা দিয়েছেন। তবে ওই কর্মকর্তার পরিচয় তিনি উল্লেখ করেননি। তদন্তের জন্য যে কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

ভিডিওটি ধারণকারী অপর ভুক্তভোগী মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। এ সময় অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। আবেদনকারী মোবারককে বার বার ফোন করে ঘুষ দাবি করেন ওই এসআই। 

তিনি বলেন, যারাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করেন তাদের থেকে কৌশলে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা  টাকা আদায় করে নেন। এই সময়ে এসেও যদি তারা এভাবে ঘুষ নেন তাহলে তো আর বলার কিছু থাকল না।  

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এসআই আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান এসআই আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় পুলিশ নেবে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়