শিরোনাম
◈ নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন ◈ চুরি হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিএ প্রেস উইং ◈  সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ৬০০ সহায়ক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছে সরকার ◈ আপনার জন্য দরজা খোলা রইল: টিউলিপকে স্টারমার ◈ নির্বাচনের দাবি জোরালো হচ্ছে, প্রস্তুতি শুরু বিএনপিসহ সমমনাদের ◈ এবার পাকিস্তানে বিশাল এক স্বর্ণের খনির সন্ধান! ◈ পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক ◈ সালমানের ৬৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ ◈ ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স রেডি সাবধানে কথা বলো: আত্মগোপনে থাকা মেজর জিয়াউলের সাক্ষাৎকার ◈ টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত আসছে

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৪৬ দুপুর
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রেমিকার খোঁজে বাংলাদেশের আদালতে মার্কিন যুবক (ভিডিও)

বান্ধবীকে ফিরে পেতে হারুন আসাদ মির্জা নামে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের এক নাগরিক বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। হয়েছেন হাইকোর্টের দারস্থ। তরুণের আবেদনে ওই তরুণীর বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১টায় মা-বাবসহ ওই তরুণীকে হাইকোর্টে হাজির করতে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার অষ্টাদশী এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার। এরপর দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার জেনে যাওয়ায় বাধে বিপত্তি। পরিবারের চাপে এক পর্যায়ে আসাদ মির্জার সঙ্গে ওই তরুণীর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তরুণীর সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে তরুণ বাংলাদেশে ছুটে আসেন।

সম্প্রতি ওই মার্কিন যুবক বাংলাদেশে এসে নানা জায়গায় ছুটাছুটি করেও প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে না পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তরুণীর বক্তব্য শুনতে চায়।

রুলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেনো আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমধ্যমে মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে বাংলাদেশের এক অষ্টাদশী তরুণীর পরিচয় হয়; বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি তরুণীর পরিবার মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে পরিবার জোর করে যোগাযোগের সব ধরনের ডিভাইস কেড়ে নেয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে জোরপূর্বক আটকে রাখা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা, স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না দেয়া, বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এবং বেআইনিভাবে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা অন্যায়। এ কারণে ওই তরুণীর মার্কিন বন্ধু হেবিয়াস কর্পাস আইনে চলতি মাসে শুরুর দিকে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশিষ্টদের বিবাদী করা হয়। আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে তরুণীর বক্তব্য শুনতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়