সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, সিপাহি বিদ্রোহ দমনের জন্য ১৮৬১ সালে প্রণীত পুলিশ আইন এখনো বহাল রয়েছে। অন্যদিকে আমাদের সংবিধান ১৯৭২ সালের। কেউ কেউ এটিকে বদলানোর কথা বলছেন, আবার অনেকে বলেন এটি ভারতের সংবিধানের প্রতিস্থাপন (সাবস্টিটিউশন)। তবে তা সত্য নয়, আমাদের সংবিধান ভারতের চেয়ে উন্নত। কোনো দেশের সংবিধানই খারাপ নয়, তবে আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা পুলিশকে শেখানো হয় না, তাঁদেরকে শেখানো হয় কেবল মারধর করা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘যৌন হয়রানি এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারীকে সর্বত্র হয়রানির শিকার হতে হয় উল্লেখ করে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা দেশব্যাপী এবং বিশ্বব্যাপী। নারীরা ঘরে মার খেলেও শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে আপস করার। কিন্তু মার খাওয়ার জন্য কোনো নারী জন্মগ্রহণ করেনি। কেবল সন্তান উৎপাদনের জন্যও নারীরা জন্মায়নি। এটি ধর্মবিরোধী নয়। হুজুররা বলেন, চার বিয়ে সুন্নত। অন্য সুন্নত মানুন বা না মানুন, এতে তারা খুশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমানরা খাবারের বেলায় হারাম-হালাল খুঁজি, কিন্তু রুজির বেলায় তা খুঁজি না।’
দেশে যাত্রাপালা বন্ধ করে তার বদলে গ্রামে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে মন্তব্য করে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আমরা যাত্রা বন্ধ করেছি। তার বদলে হচ্ছে ওয়াজ। সেখানে বেশিরভাগ সময় নারীদের পোশাক ও চলাফেরা নিয়ে কথা বলা হয়। একজন সৌদি আরবে ১৩ বছর থাকার পর বলেছেন, সেখানে বাংলাদেশের মতো ওয়াজ মাহফিল হতে দেখেননি।’
সভা সঞ্চালনা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর। অগ্নি প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্পের সময় সমন্বয়কারী এডভোকেট আসমা খানম রুবা।
তিনি জানান, গাজীপুর ও রাজশাহী জেলায় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে অগ্নি প্রকল্প। সভায় এই দুই জেলায় যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র তুলে ধরা হয়।
বক্তারা যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান। উৎস: আজকের পত্রিকা।
আপনার মতামত লিখুন :