শিরোনাম
◈ প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে: তাজুল ইসলাম (ভিডিও) ◈ পুলিশ এখনো থানায় টাকা খাচ্ছে : সারজিস ◈ সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত ◈ আগামী ৩০ বছরে মানুষের বিলুপ্তি ঘটাতে পারে এআই : এআই গডফাদার হিন্টন ◈ দুপক্ষের সংঘর্ষ:  ইউপি সদস্য ও তার ছেলেসহ তিনজন নিহত, এলাকা পুরুষশূন্য! ◈ দলের চাঁদাবাজির জন্য একটি দল যদিও বহিষ্কার করেছে, তবে তা যথেষ্ট নয়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত (ভিডিও) ◈ কোন পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়িত হয় তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না: ডিএমপি  ◈ কেউ পদ–পদবি দখলে কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, খুনিদের বিচারে গুরুত্ব নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান ◈ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় কারা জড়িত? নানা মন্তব্য ◈ দুই ট্রাক নথিপত্র গায়েব হচ্ছে ভেবে আটক করলো স্থানীয় জনতা

প্রকাশিত : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৩০ রাত
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা দরকার, যেখানে জবাবদিহি হবে প্রাথমিক ভিত্তি: আলী রীয়াজ

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ার ওপর গুরুত্ব আরোপের আহ্বান জানিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করা দরকার, যেখানে জবাবদিহি হবে প্রাথমিক ভিত্তি। কেননা, জবাবদিহি না থাকলে কোনো অবস্থাতেই মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। 

শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে আয়োজিত জাতীয় সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে এ সংলাপের আয়োজক ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস)।

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণের বিষয়ে একটা জাতীয় ঐক্য দেখা গেছে। এখন বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা কী হবে, সেই ঐক্য দরকার। গত ১৫-১৬ বছর ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল। রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও জনগণকে ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কারের পথে নিয়ে যেতে হবে।

এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ, যত ভালো সংবিধান তৈরি করেন না কেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে সেই সংবিধান আবারও ভাঙা হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে জোর দিতে হবে। জবাবদিহির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থাকবে। তার একটা হলো, সরকার কীভাবে গঠন করছেন, আরেকটি হলো সবার মধ্যে কীভাবে জবাবদিহির ব্যবস্থা করছেন। কীভাবে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে আইনসভা কিংবা বিচার বিভাগের সম্পর্ক নির্ধারণ করছেন। বিচার বিভাগ কীভাবে স্বাধীন আছে। 

বর্তমানে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, এমন একটি ব্যবস্থা দরকার, যেখানে ক্ষমতার এককেন্দ্রীয়করণ অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সার্বিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এই জায়গাগুলোতে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঐকমত্যের জায়গাগুলো অগ্রসর করা দরকার।

বক্তব্যের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, বীর শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে কোনো বক্তব্য দেওয়ার নৈতিক অধিকার আমার নেই। শহীদদের পরিবারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। উৎস: সমকাল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়