আইন,বিচারও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ বাংলাদেশের সর্বনাশের কারণ। তিনি বলেন, 'ঐকমত্য থাকলে, পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সহজে এই সংস্কারগুলো বদলাতে বা বাতিল করতে পারবে না। আমাদের জন্য সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।'
তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে সংস্কার বাস্তবায়নে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, 'বাংলাদেশের উচ্চতর বিচার বিভাগকে এমন সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় রাখা হয়েছিল এবং তাদের কর্তৃত্ব সুসংহত করতে ব্যবহার করা হয়েছে।'
'তখন অনেকে দোষী প্রমাণিত না হয়েও দীর্ঘ সময়ের জন্য আটক ছিলেন এবং জামিনের আবেদনগুলো প্রায়ই প্রত্যাখ্যান করা হতো,' বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে যদি প্রতি পাঁচ বছর পর পর সুষ্ঠু নির্বাচন হতো এবং নির্বাচিত দল সরকার গঠন করত, তাহলে ক্ষমতাসীন দল বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এতটা স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারত না।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে একটা প্রবণতা চালু হয়ে গিয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত ও অপরাধীর বিচার হওয়ার আগে দিনের পর দিন জামিন নাকচ করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জেলে রাখা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জুডিশিয়ারি হয়ে গিয়েছিল নির্যাতন, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটা হাতিয়ার।’
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনটি সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র : ডেইলি স্টার
আপনার মতামত লিখুন :