মনিরুল ইসলাম: জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘এসিল্যান্ড, ইউএনও, ডিসি হিসেবে যারা কাজ করেন, তারা তো সমাজের অংশ। তারা আসলে ভাই-বোন। মাঠে এখন নারী কর্মকর্তা বেশি, তারা ভালো করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় স্যার ডাকার ইস্যুটা আপনারা নিজ থেকে প্র্যাকটিস করেন। চিঠি না সরাসরি কোনো কনফারেন্স থাকলে আমরা বলি- এই মেসেজ কিন্তু দেওয়া হয়েছে। তারা এখন প্রস্তুত, ভাই ডাকা মানে অসম্মান করা না, ভাই ডাকা মানে আপন হওয়া। আর মেয়েদের ব্যাপারে বলি- ম্যাডাম ডাকলেও খুশি, আপা ডাকলেও খুশি, সবচেয়ে খুশি হয় আপু।’
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার ডাকার নিয়ম আর নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাই ও আপা ডাকা যাবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয় এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র মো. মোখলেস উর রহমান।
সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ নিয়ে এক প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘বিগত সরকার জেন্ডার চেঞ্জ করে দিয়েছিল। পুরুষ-মহিলা সবাইকে বাধ্যতামূলক স্যার ডাকতে হতো। আপনারা জানেন ৫ আগস্টের (গণ-অভ্যুত্থানের সরকার পতনের) পর থেকে এটা শেষ। এখন পুরুষ অফিসারদের জনাব বা মিস্টার, নারী অফিসারদের মিস অথবা ম্যাডাম বা এমএস লিখতে পারেন, কোনো অসুবিধা নেই।’
বিদেশে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টকে তাদের নাম ধরে ডাকা হয় জানিয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে বাই নেমে ডাকার কালচার নাই। ভাই তো ডাকতেই পারে। আমাকে যদি এসে কেউ ভাই বলে, সচিব হিসেবেই, আই নেভার মাইন্ড।’
মাঠ প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার ডাকায় অনেক সময় তারা প্রতিক্রিয়া জানান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি জটিলতার সৃষ্টি করছিল বলেও জানান এ সিনিয়র সচিব।
আপনার মতামত লিখুন :