শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে লোকালয়ে শিয়ালের আক্রমণ বাড়ছে! ◈ প্রতিবন্ধীরা একা নন, একসঙ্গে কাজ করে আমরা একটি সমাজ গড়ে তুলতে চাই : তারেক রহমান  ◈ যে কারণে রুশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় রয়েছেন জানালেন মোদি সরকার ◈ ক্রমাগত বন্ধু হারাচ্ছে ভারত, বাড়ছে শত্রু ◈ জুনিয়র মহিলা এশিয়া কাপ হকি, শ্রীলঙ্কাকে ৮ গোলে হারালো বাংলাদশ ◈ কুমিল্লা স্টেডিয়ামে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারালো মোহামেডান ◈ সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ ◈ ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াতে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে: আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ◈ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কী বিপদে পড়েছিলেন আসিফ নজরুল?(ভিডিও) ◈ নেকাব না খোলায় পরীক্ষা দিতে দেয়নি অধ্যক্ষ, অভিযোগ ছাত্রীর

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৪৪ বিকাল
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে যা বললেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকী

কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘মাত্র একটি কবিতার বই লিখে একটি জাতির শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসে আর কোনো কবি এতো প্রভাব রাখতে পেরেছেন কি না আমার জানা নেই। তিনি খুব বেশি কবিতা লেখেননি। খুব বেশি বইও বের হয়নি তবুও তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের নাম মনে পড়ে। এটা তার অর্জন।’

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলা একাডেমিতে প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি জগত কবি হেলাল হাফিজের শূন্যতা বোধ করবে।’

কবির একাকী জীবন নিয়ে ফারুকী বলেন, ‘তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি এই জীবনেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। আমার মনে হয় না, এ জীবন নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ বা অভিযোগ ছিল।’

কবি হেলাল হাফিজকে মরণোত্তর কোনো পদক দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ‘কবি কখনো পুরস্কার বা পদকের জন্য লেখেন না। তবে, কবির প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে জাতির পুরস্কার দেওয়া উচিৎ। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমরা বেঁচে থাকা অবস্থায় তাকে একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদকের মতো কোনো পুরস্কারে ভূষিত করতে পারিনি।’

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতিভাবান কবি হেলাল হাফিজের প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। প্রথম কবিতাগ্রন্থ প্রকাশের পরই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন।

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। 

২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়