প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ১৯৭১ সালে যেভাবে ঠকঠক করে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা, এ রকম পুনরাবৃত্তি আমরা জুলাইয়ে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন, আমাদের যে ছয়জন শীর্ষ ছাত্রনেতা তাদের কীভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের উত্তরসূরিদের জন্য যেভাবে তাদের লেখা লিখে গিয়েছিলেন, আহনাফ বা শিক্ষার্থীরাও তাদের মায়ের কাছে চিঠি লিখছে যে, তারা যুদ্ধ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যে নতুন বাংলাদেশের আমরা স্বপ্ন দেখছি, যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এগিয়ে যাচ্ছেন, এটি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে স্বপ্ন ছিল তারই ধারাবাহিকতা। সেই আলোকেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে, সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সেখানে কিছু সময় তারা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করতে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। উৎস: আরটিভি অনলাইন ও সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :