শিরোনাম
◈ জামায়াত এখনই নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করছে কেন? ◈ আসিফ-নাহিদরা পদত্যাগ করলেও সরকারে থাকতে পারেন ছাত্র প্রতিনিধি ◈ ঢাকার সড়কে চালু হচ্ছে গোলাপি রংয়ের ২,৬১০টি বাস ◈ চৌকিতে আমু ফ্লোরে ঘুমান সালমান, খাবার অনেক সময় গন্ধ হয়ে যায়: যেমন কাটছে সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাজীবন ◈ মণিপুরে রক্ত ঝরাচ্ছে মোদির দল, ফাঁস কল রেকর্ড ◈ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর অভিযোগে শিক্ষার্থী গ্রেফতার ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং পরামর্শক ◈ ইউরোপিয়ান ফুটবলে জানুয়ারির মধ্যবর্তী দলবদল শেষ, দামী খেলোয়াড় খাভিছা ◈ পেলে, ম্যারাডোনা ও মেসির সঙ্গে আমার তুলনা চলে না, আমিই সর্বকালের সেরা: রোনালদো ◈ সুমাইয়াকে হয়রানি ও হত্যার হুমকি, কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বাফুফে

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাছ-মাংস খাওয়া কমেছে, বেড়েছে ভাত খাওয়া

ডেস্ক রিপোর্ট : উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে গ্রাম এলাকার মানুষের খাদ্যের ধরনে পরিবর্তন হয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষেরা মাছ-মাংসের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন। এর বিপরীতে তারা ভাতের মতো শর্করাজাতীয় খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। বিআইডিএসের বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে গতকাল এসব তথ্য তুলে ধরেন বিআইডিএসের গবেষকেরা। 

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য টেনে বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, একটা দাবি ছিল যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে। কিন্তু আমরা দেশের ৬৪ জেলায় জরিপ করে পেয়েছি, তখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশের বেশি ছিল। এর প্রধান ভুক্তভোগী গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষেরা। তারা মাছ-মাংসসহ প্রয়োজনীয় প্রোটিন খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবর–ডিসেম্বর তিন মাসে দেশের ৬৪টি জেলার ৬৪টি গ্রামের ৩ হাজার ৮৮৭টি পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিআইডিএস। জরিপে মোট ১১ ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম হিসাব করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ২০২২ সালের অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকের চেয়ে ২০২৩ সালের একই সময়ে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে। 

বিআইডিএসের গবেষণা সহযোগী রিজওয়ানা ইসলাম জানান, উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রাম এলাকার দরিদ্র মানুষেরা তাদের খাদ্যের ধরন পাল্টেছেন। তারা মাছ-মাংসের মতো অধিকাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ কমিয়েছেন। যেমন আগে গ্রামের অনেকে রুই-কাতলার মতো মাছ খেলেও এখন তারা তেলাপিয়া ও পাঙাশের মতো কম দামের মাছ কিনছেন। আবার গরু বা খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে ফার্মের মুরগি ও ডিম খাওয়া বাড়িয়েছেন। তবে এ সময় মাছ-মাংস খাওয়া কমলেও বেড়েছে ভাত খাওয়ার পরিমাণ। 

বিআইডিএসের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে গ্রামের মানুষ দৈনিক মাথাপিছু ৩৪৯ গ্রাম ভাত গ্রহণ করলেও তা পরের বছর বেড়ে ৩৯৪ গ্রাম হয়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে যেখানে দৈনিক মাথাপিছু ১০ গ্রাম গরুর মাংস খেতেন, সেখানে গত বছর তা কমে ৪ গ্রামে নেমেছে। এই সময়ে মাথাপিছু দৈনিক ফল খাওয়ার পরিমাণ ৯১ গ্রাম থেকে কমে ২৬ গ্রাম হয়েছে। 

সুত্র : ঢাকা পোষ্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়