মাসুদ আলম : ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার বলেছেন, আমরা জনসাধারণকে থানায় আনতে চাই না, পুলিশই আপনাদের দোরগোড়ায় যাবে এবং আপনাদের সমস্যার কথা শুনে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বুধবার বিকালে তেজগাঁও থানায় পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও তেজগাঁও থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে সাধারণ মানুষের আরো কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। পুলিশ যতো বেশি সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে, সাধারন মানুষের কাছ থেকে ততো বেশি সহযোগিতা পাবে।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা পুলিশকে সত্যিকারের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পুলিশ প্রোঅ্যাকটিভ কাজ করবে। এ লক্ষ্যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজধানীর প্রতিটি থানায় জনগণের মতামত গ্রহণের জন্য পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের কাজের কোনো পর্দা থাকবে না। পুলিশ কি কাজ করে তা জনগণ দেখবে। পুলিশের বিধির বাইরে গিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। জনগণের কাছে আমাদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
তেজগাঁও থানা এলাকার নাগরিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এ ধরণের কাজকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরণের মতবিনিময় সভা যেনো ধারাবাহিকভাবে চলমান থাকে। আমরা পুলিশকে সাধ্যমতো সহযোগিতা ও যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের সাথে একত্রে কাজ করতে চাই।
তেজগাঁও থানা এলাকার অপর নাগরিক মো: ফারুক বলেন, পুলিশ যেনো রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহৃত না হয়। পুলিশের আইনগত কাজে যেকোনো সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :