সহিংসতায় চট্টগ্রামের আদালতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারা এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তা স্পষ্ট করতে পারেনি বাহিনীটি। এতে পুলিশের প্রাথমিক ব্যর্থতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খানকে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে পদায়ন করা হয়েছে বন্দর জোনের ডিসি শাকিলা সোলতানাকে। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এই বদলি আদেশে স্বাক্ষর করেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।
এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) পৃথক আদেশে বদলি করা হয়েছে সিএমপি দক্ষিণ জোনের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফজলুল কাদের চৌধুরীকে। তার স্থলে সিএমপির বিশেষ শাখায় কর্মরত পরিদর্শক মো. আবদুল করিমকে পদায়ন করা হয়েছে।
এদিকে আজও আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করে তারা। এতে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সমাবেশে আইনজীবী নেতারা বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকে নীরব ছিল। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ নিয়ে ইসকনের অনুসারীরা আদালতে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা আদালত পাড়ায় মসজিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। প্রতিবাদ জানালে আইনজীবীদের ওপর চড়াও হয় তারা। একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট সাইফুলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
সিএমপি কমিশনারকে আল্টিমেটাম দিয়ে আইনজীবী নেতারা বলেন, ঘটনার পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এত বড় ঘটনা হতো না। এটি পুলিশের ব্যর্থতা। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে তাকে ওই পদে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানান তারা। উৎস: আজকের পত্রিকা।
আপনার মতামত লিখুন :