চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষের সময় এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘ (ইসকন) ইস্যুতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদক্ষেপ জানানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন। এর আগে বুধবার সকালে একজন আইনজীবী সাইফুল আলমকে হত্যাসহ সার্বিক পরিস্থিতি আদালতের নজরে আনেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষের মতামত জানতে জরুরি ভিত্তিতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে আদালতে ডেকে পাঠান।
অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
তখন আদালত বলেন, ‘তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কেউ অবনতি করতে না পারে।’
এরপর ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুত সরকারের পদক্ষেপ আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল চিন্ময়ের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে তার অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সে সময় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।
আপনার মতামত লিখুন :