শিরোনাম
◈ যে কারণে বাংলাদেশকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা, বেশির ভাগই ভারতে অবস্থান করছেন ◈ আওয়ামী লীগ এখনই নিষিদ্ধ নয়, তবে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে : উপদেষ্টা নাহিদ ◈ ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয় : বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৭ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব, এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ (ভিডিও)

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিবিসি হিন্দিকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ওই সাক্ষাতকারে তিনি সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সুতরাং এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। বরং ভারতের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে কথা বলা উচিত। এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই–আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে তা এখনও স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। অথচ যার ওপরে এই ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

নাহিদ বলেন, আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক, যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এ জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।

বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন নাহিদ ইসলামকে প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগের পতন হওয়ায় বাংলাদেশে উগ্র সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি হলো আওয়ামী লীগ ও ভারতের একটি প্রোপাগান্ডা। তারা এসব বলে মানুষকে বোঝাত যে তারা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশে উগ্রবাদিতা বাড়বে।

নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের এই প্রোপাগান্ডাকে ভারতও সমর্থন দিয়েছে এবং বাংলাদেশের জনগণের বদলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ থাকা না থাকা নিয়ে তারা কথা তুলছে। তিনি বলেন, ভারতে বিজেপি না কংগ্রেস কে ক্ষমতায় আছে সেটি বাংলাদেশের মানুষ দেখে না।

বিবিসির এই সাংবাদিক উপদেষ্টা নাহিদকে বাংলাদেশ-ভারতের রেল, নৌ ও সড়কের যৌথ প্রকল্পগুলো নিয়েও প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের দ্বারা বাংলাদেশের মানুষই উপকৃত হতো নাকি আওয়ামী লীগ হতো।

জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিষয়গুলো আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। দুই দেশ চাইলেই উন্নয়নমূলক করা করা সম্ভব। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে থাকা কোনো প্রকল্প বন্ধ করা হয়নি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।

তিনি আরও জানান, ভারতসহ অন্যান্য যেসব দেশের সঙ্গে প্রকল্প রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে এগুলোতে কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়