বরিশাল থেকে ধরে আনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই রিমান্ড আবেদন করেছে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বরিশালের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁকে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে।
উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে আর তাঁর খোঁজ পায়নি পরিবার।
আলেপ উদ্দিনের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত গতকাল রাত ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আগের দিন (মঙ্গলবার) দুপুরে আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার সময় তিনি স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, বরিশালের ডিবি তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে। তাঁর জানামতে, আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কিন্তু তাঁকে কেন তুলে নিয়ে গেছে, কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানতে পারছেন না। ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টার অনেক বেশি সময় পার হয়ে গেছে, এখন পুরো পরিবার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।
কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর আটক বা গ্রেপ্তারের কারণ এবং তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছে, সেটি পরিবারকে জানানোর বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।
গতকাল রাত ৯টার দিকে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁকে ঢাকার ডিবি কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডেকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।
এরপর রাত ৯টা ২৫ মিনিটে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না।
আলেপ উদ্দিন পুলিশের ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। উৎস: প্রথম আলো।
আপনার মতামত লিখুন :