শিরোনাম
◈ কেমন সংবিধান হওয়া উচিত, এই বিষয়ে যা শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ ভারতে শেখ হাসিনার ১০০ দিন : কীভাবে রয়েছেন, নিরাপত্তা প্রোটোকলটা ঠিক কী রকম? ◈ যেভাবে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে পালালো প্রতারক, কিছুই বলতে পারলেন না ব্যবসায়ী ◈ উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা করার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের ◈ দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যা করবেন ট্রাম্প  ◈ প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টা ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নাকি অন্যকিছু ? ◈ ভাইরাল সুপারিশপত্রের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ‘অহরহ কল আসছে, আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায়’ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:৪০ রাত
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারে  সিঙ্গাপুরের সহায়তার আহবান

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো ঢাকায় তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ

মনিরুল ইসলাম : বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার এবং বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনের ব্যয় কমাতে সহায়তা করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো ঢাকায় তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূত লো’কে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে প্রচুর অর্থ পাচার করা হয়েছে।’

‘সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের,’ বলেন তিনি। রাষ্ট্রদূত লো সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর লক্ষ্যে ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি জানান, প্রবাসীরা যেন তাদের পরিবারের কাছে আরও বেশি অর্থ পাঠাতে পারে সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভিবাসনের ব্যয় কমিয়ে আনতে চায়। ‘আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে নিয়োগের খরচ কমানোর জন্য একটি মডেল কাঠামো তৈরি করতে পারি,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।

রাষ্ট্রদূত সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশকে বৈদেশিক নিয়োগ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পরামর্শ দেন যাতে করে মানব পাচার ও শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা কমে যায়।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় অর্থনীতি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। এখন এদেশে ব্যবসা করার উপযুক্ত সময়।

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ-র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায় তার সুযোগ নির্ধারণ করবে।

লো বলেন, সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের দক্ষতা ভাগাভাগি করতে পারলে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে এবং সার্ককে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থন চান। প্রতিক্রিয়ায় ডেরেক লো জানান, তার দেশ এ ব্যাপারে ইতিবাচক রয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢাকা তার পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। ‘আমরা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে পার্থক্য করি না। আমাদের সর্বত্র সেতু নির্মাণ করতে হবে,’ অধ্যাপক ইউনূস বলেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মাইকেল লি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়