শিরোনাম
◈ সমালোচকেরা মনে করছেন, ক্ষমতায় গেলে বিএনপি আরেকটি ‘আওয়ামী লীগে’ পরিণত হতে পারে ◈ হোয়াটসঅ্যাপ আনলো চমকপ্রদ ফিচার ◈ এক বছরেই ভোট চান ৬১.১ শতাংশ মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯ শতাংশ ◈ বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা, : বড় পতনের পর সোনার দামে বড় লাফ ◈ রবিবার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ বড় পরিবর্তন আসছে প্রাথমিকে, সৃষ্টি হচ্ছে শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ ◈ পিকনিক বাসে বিদ্যুতের তার, প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ◈ কোথাও দাম না পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি ◈ সম্পদের হিসাব জমা না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের যেসব শাস্তি হতে পারে ◈ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যেসব দেশ নিরাপদ থাকবে

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০১ রাত
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য অঞ্চল আমাদের দেশের একটি বিরাট সম্পদ, সেখানকার শান্তির জন্য যা দরকার তাই করা হবে: সেনাপ্রধান (ভিডিও)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সব ধর্মের মানুষ মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়তে চাই।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান ও বৌদ্ধ মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘সব ধর্ম, ইসলাম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিস্টন, সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। এখানে সুন্দরভাবে শান্তিতে বসবাস করতে, দেশ ও জাতির উন্নতি করতে চাই।’

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘যখন আজান হচ্ছিল, তখন তারাই বললেন যে কিছুক্ষণ পরে শুরু করি, আজানটা শেষ হয়ে যাক।

এই যে ধর্মীয় বোঝাপড়া (আন্ডারস্ট্যান্ডিং), ধর্মীয় সম্প্রীতি, মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, এটা অতুলনীয়।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, এভাবেই প্রতিনিয়ত, প্রতি সময় আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করবেন। সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এ জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করব।

এর আগে দুর্গাপূজাতেও আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। খুব সুন্দরভাবে তা উদযাপন করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা যখনই যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা চাইবেন, আমরা সেটা প্রদান করব।

বৌদ্ধধর্মের মূলমন্ত্র শান্তি ও সম্প্রীতি উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘হাজার হাজার বছর ধরে আমরা এখানে আছি, এটাই আমাদের ঐতিহ্য। সবচেয়ে পুরনো ধর্ম হচ্ছে সনাতন ধর্ম, তারপরে বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব হয় আড়াই হাজার বছর পূর্বে, পরবর্তীতে খ্রিস্টধর্ম আসে এবং ইসলাম সবচেয়ে শেষে আমাদের দেশে আসে। এই প্রধানতম চার ধর্ম, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেখে ভালো লাগছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে দেখে।

তারা এ দেশে অনেক বৌদ্ধমন্দির তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য এটা চমৎকার অবদান। এখানে ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও আছেন। তারাও বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতির জন্য অবদান রাখছেন।’

তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘পার্বত্য জেলায়, বিশেষ করে যেহেতু এখানে আমাদের একটু শান্তি-সম্প্রীতির কিছুটা ঘাতটি আছে, সেদিকটা পুষিয়ে নিতে চাই। একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। পাহাড়ে সবাই পাহাড়ি-বাঙালি যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের (পাহাড়ি জনগোষ্ঠী) একটা ভাষা-সংস্কৃতি আছে। আমরা এটাকে সম্মান করতে চাই। সংস্কৃতি, ভাষা ও জীবন-বৈচিত্র্য, এটাকে আমরা রক্ষা করতে চাই। এটা আমাদের বিশাল বড় সম্পদ। এগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা করব।’

পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন ও পাহাড়িদের শিক্ষার সুযোগ তৈরির বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘পার্বত্য জেলাগুলো চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্যসংবলিত। এখানে পর্যটকদের গন্তব্য হতে পারে। পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, এমন অনেক কাজ করার আছে। আর সেখানে স্কুল-কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় করলে পাহাড়ি ভাইবোনেরা সুন্দরভাবে সেখানে পড়াশোনা করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেশ-বিদেশে তাঁদের দক্ষতা নিয়ে ছড়িয়ে যেতে পারবেন।’

বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅং এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়