শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ফিলিস্তিনি–মার্কিন নারী যে ডিসট্রিক্ট থেকে জিতেছেন ◈ বিদেশি ‘নাগরিকত্ব’ নিয়ে যাঁরা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন ◈ এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিজয় যা আমাদের দেশ এর আগে কখনোই দেখেনি : বিজয়ী ভাষণ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আমির হোসেন আমু গ্রেফতার ◈ শেখ হাসিনা সরকার আমাকে একা করে দিয়েছে : ছেলের হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন তাপসের মা ◈ সারাদেশে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা ◈ বিজয় থেকে সামান্য দূরে ইতিহাস গড়ার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ যত প্রভাবশালীই হোক, কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ট্রাম্প শিবিরে উল্লাস, ভাষণ দেবেন না কমালা ◈ সিরিজ জয়ের দাবিদার আফগানিস্তান, বিকালে প্রথম ম্যাচে আফগানদের মুখোমুখি শান্তবাহিনী

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৪ রাত
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদানির বকেয়া আরও ১৭ কোটি ডলার নভেম্বরেই পরিশোধ করবে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেডের (এপিজেএল) বকেয়া ১৭ কোটি ডলার চলতি মাসেই পরিশোধ করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।যদিও আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যবস্থা না নিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে আদানি। সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতীয় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কোম্পানি আদানি পাওয়ার পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণই করা হয়েছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য।

বাংলাদেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ১২ শতাংশ (বা তার সামান্য কমবেশি) ভারত থেকে সরবরাহ করা হয় বলে এ সেক্টরের সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছেন। 


ভারতের যে সংস্থাটির বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, সেই আদানি পাওয়ার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাবর চিঠি লিখে তাদের পাওনা ৮০০ মিলিয়ন বা ৮০ কোটি ডলার মিটিয়ে দেওয়ার জন্য তার ‘হস্তক্ষেপ’ চেয়েছে।ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছিলেন গৌতম আদানি নিজেই।

গত ২৭ অক্টোবর বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেছিল এপিজেএল।ওই চিঠিতে এপিজেএল জানিয়েছিল, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে তারা ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) আওতায় প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লিখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি। বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ ৮শ মেগাওয়াট কমিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আলটিমেটাম দিয়েছে ৩ নভেম্বর।

কয়লা আমদানি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে থাকার অজুহাতে এবার কোম্পানিটি বকেয়া পাওয়ার জন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেখানে এরই মধ্যে তারা বিদ্যুৎ রপ্তানি ৫০ শতাংশের বেশি কমিয়ে দিয়েছে।

নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে প্রায় শুরু থেকেই বিল পরিশোধে সমস্যা হয়েছে। চলতি বছর আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানির বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন- ‘গত মাসে আমরা ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছি। এ মাসে আরও ১৭ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য একটি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে।’

অন্যদিকে আদানি পাওয়ারের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা দিলীপ কুমার ঝা গত সপ্তাহে এক ত্রৈমাসিক রাজস্ব সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই।আমরা আশা করি, বকেয়ার বিষয়ে আর অবস্থার কোনো অবনতি হবে না।

সুত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়