ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানী ও এর আশেপাশে আটটি গোপন আটককেন্দ্রের খোঁজ পেয়েছে বলে জানিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। তবে তদন্তের স্বার্থে এই আটককেন্দ্রগুলো কোন বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হতো, তা জানায়নি তারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, ‘আমরা র্যাব পরিচালিত একটি সেল পেয়েছি, যেটি ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ বাই ৪ ফুট। সেখানে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একটি ড্রেন ছাড়া সেখানে কোনো স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ছিল না। এমন পরিবেশেই বন্দিদের বছরের পর বছর ধরে সেখানে রাখা হয়।’
কমিশন গুমের ৪০০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে, যার মধ্যে ১৭২টি ঘটনায় র্যাব, ৩৭টি ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি), ২৬টি ঘটনায় ডিরেক্টরেট জেনারেল ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই), ৫৫টি ঘটনায় গোয়েন্দা শাখা, ২৫টি ঘটনায় পুলিশ ও ৬৮টি ঘটনায় অন্যান্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
কমিশনের অপর সদস্য নাবিলা ইদ্রিস বলেন, ‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রমাণ নষ্ট করছে। তারা সেল ও দেয়াল ভেঙে ফেলছে। যেসব বাহিনী প্রমাণ নষ্ট করছে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না। এখনকার কর্মকর্তারাও আগের কর্মকর্তাদের অপরাধে জড়িত ছিলেন।’
তদন্ত কমিশনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান কমিশনের প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গত ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে।’
সুত্র : দৈনিক আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :