ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদের বিষয়ে ব্যক্তিগত অভিমত দিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর হওয়া উচিত। কারণ, তিন বছর মেয়াদ হলে ১৫ বছরে পাঁচবার নির্বাচিত প্রতিনিধি এখানে আসবেন। ফলে অধিক সংখ্যক জনপ্রতিনিধি এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ একসময় তিন বছর ছিল। এই মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু দুই বছর মেয়াদ বৃদ্ধিতে লাভ কী হয়েছে, তার কোনও নিদর্শন পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কখনও কোনও মূল্যায়নও করা হয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সময়সাপেক্ষে অবস্থা অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করা আছে।
এ ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ নিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ যে সংবিধানে পাঁচ বছর আছে, তা চার বছর হওয়া উচিত। পৃথিবীর বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে মেয়াদ যদি চার বছর হতে পারে, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও রাষ্ট্র পরিচালনার মেয়াদ চার বছর হতে অসুবিধা কোথায়? এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
উপদেষ্টা বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সেবা প্রদান ব্যাহত না হতে ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শিগগিরই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় পূর্ণ মেয়াদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।
আপনার মতামত লিখুন :