শিরোনাম
◈ কর্মকর্তাদের প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যে ৫ নির্দেশনা দিয়েছেন ◈ বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী ◈ বিএনপির রিভিউ আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ◈ একের পর এক ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ভারতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মন্ত্রী ◈ সঞ্চয়পত্রে সুদহারসহ বাড়ছে সুবিধা  ◈ নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে ঈদ ও পূজার ছুটি নিয়ে ◈ ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার ◈ বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ◈ আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দালাল : শাওন ◈ পোশাক খাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে,অস্থিরতা নেই

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আয়নাঘরের মূল হোতা আমি? এসব কীভাবে বানান : জিয়াউল আহসান

ডেস্ক রিপোর্ট : সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক  মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান আদালত চত্বরে বলেছেন, ‘আয়নাঘরের মূল হোতা আমি? এসব কীভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূল হোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) আদালতে আনা হলে তিনি এই কথা বলেন। নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি গুম ও অপহরণের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় আজ।


আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞেস করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত। এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন।

তখন বিএনপির আইনজীবী বলেন, উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূল হোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর। এ বক্তব্যর প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান। তখন বিচারক বলেন, এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।

এরপর নিউ মার্কেট থানার মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারক চলে যান। বিচারকের প্রস্থানের পর বিএনপির ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ করে জিয়াউল আহসান বলেন, আয়নাঘরের মূল হোতা আমি? এসব কীভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূল হোতা নই। এসব আমার নামে বানানো মিথ্যা অভিযোগ। এসময় তার চেহারায় রাগ ফুটে ওঠে।

পরে পুলিশ কর্মকর্তারা জিয়াউল আহসানকে হেলমেট পরিয়ে হাজত খানায় নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন।  দীর্ঘদিন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে তিনি র‌্যাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকার সময় তাকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) ডিডিজি হিসেবে বদলি করা হয়। পরে তাকে সেখান থেকে এনএসআই’র পরিচালক হিসেবে সংযুক্ত করা হয় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে তিনি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) পরিচালক হন তিনি। ২০২২ সালে এনটিএমসি’র মহাপরিচালক (ডিজি)  করা হয়।

তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করার কথা জানায় পুলিশ। পরে নিউ মার্কেট থানার এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সুত্র : বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়