সাংবাদিক-পুলিশ সবাই বলছে, তাদের ওপরে নির্দেশ ছিল। একই কথা সব সেক্টরই বলছে, তাহলে কি দোষ শুধু শেখ হাসিনার? আর কারো দোষ ছিল না? এমন প্রশ্ন রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি জুলাই আন্দোলনে আহতদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ বলেন, আন্দোলনকালীন সময়কার ঘটনায় কোনো মায়লায় নিরীহ কাউকে হয়রানি না করা এবং বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে শহীদদের যেন ভাগ না করা না হয়।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেন হত্যা মামলা হচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে গণহত্যা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ আমাদের দেশে কায়েম ছিল। এই ফ্যাসিবাদের সাথে নানা ধরনের শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিল। সাংবাদিকদের ভেতরেও সেটা ছিল। অনেকেই গণহত্যার পক্ষে সরাসরি কথা বলেছে, বৈধতা দিয়েছে। আমি মনে করি তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
তিনি বলেন, যদি কেউ ন্যায়বিচার না পায়, বিভিন্ন মিথ্যা মামলা হচ্ছে সেটা আমরা দেখব। সাংবাদিকসহ অন্যরা যদি মনে করে মামলায় ভোগান্তি হচ্ছে, আমরা সেই জায়গা থেকে বিষয়টি দেখব। যথাযথ অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে সেইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা যে কথা বলছে একই কথা পুলিশও বলছে, যে তাদের উপরে নির্দেশ ছিল। একই কথা সব সেক্টরই বলছে, তাহলে কি দোষ শুধু শেখ হাসিনার? আর কারো দোষ ছিল না? প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কী ভূমিকা রেখেছে এটা আসলে দেশের মানুষ জানে। আমরাও জানি। হয়তো মামলাগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে না। আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি যেন হয়রানিমূলক মামলা না দেওয়া হয়। যথাযথভাবে অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাগুলো যাতে নেয়া হয়।
এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ছাত্র নেতৃত্বের আন্দোলনে গুলি চালানো পুলিশদের ছাড় দেয়া হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :