শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

বাংলাদেশি জেলে নিহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা

মনিরুল ইসলাম  : কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে মো. ওসমান (৬০) নামের এক জেলে নিহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকায় মিয়ানমারের দূতাবাসে এক কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।   শুত্রুবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং কোনো ধরনের উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে মো. ওসমানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হন। এছাড়া মিয়ানমার নৌবাহিনী ৬০ জন মাঝি-মাল্লাসহ পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার আটকে রাখে।

বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে ওসমানসহ অন্যান্য জেলেরা মাছ ধরছিলেন, তখন প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ছয়টি মাছ ধরার নৌকাসহ অপহরণ করা হয়। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় কূটনৈতিক নোটে।

জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারসহ জেলেরা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার হন। 

কোস্ট গার্ড যোগাযোগ করলে প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. ওসমান গনিসহ ১১ জনকে বহনকারী একটি ট্রলার ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বাকি জেলে ও তাদের ট্রলারগুলোকে ছেড়ে দেয় মিয়ানমারের নৌবাহিনী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়